নিষিদ্ধ ঘোষিত সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম উদ্ধারের ঘটনায় চট্টগ্রামে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতার ভাইসহ ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তফা এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে নেওয়া ৮ আসামি হলেন- তারিকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, জামালুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ মোরশেদ। এদের মধ্যে তারিকুল ইসলাম চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুচ ছালামের ছোট ভাই।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন জানান, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশের করা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সূত্র জানায়, গত ১৭ মে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস নামে একটি পোশাক কারখানা থেকে ২০ হাজার ৩০০ পিস কেএনএফের ইউনিফর্ম জব্দ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ মোরশেদকে।

এদের মধ্যে সাহেদুল ইসলাম কারখানার মালিক। অপর দুজন ইউনিফর্মগুলো তৈরির অর্ডার এনেছিলেন।

এরপর ২৬ মে রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার নয়াহাট এলাকায় একটি গুদাম থেকে ১১ হাজার ৭৮৫ পিস ইউনিফর্ম জব্দ করে পুলিশ। দুই দিন পর ২৮ মে রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডের একটি পোশাক কারখানা থেকে আরও প্রায় ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কারখানার মালিক কামরুজ্জামানকে।

সর্বশেষ ২ জুন রাতে নগরীর কালুরঘাটে ‘ওয়েল কমপোজিট নিট কেমিক্যাল ফেব্রিকস ডাইং’ নামের কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন- তারিকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, আতিকুর রহমান ও জামালুল ইসলাম। তাদের বায়েজিদ বোস্তামি থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পুলিশের ভাষ্যমতে, ওয়েল কমপোজিট থেকে কুকি-চিনের ইউনিফর্ম তৈরির সূতা ও কাপড় সরবরাহের অভিযোগ পেয়ে ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছিল।

এর আগে, গত ৩ জুন তারিকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, আতিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম দফায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।