নাটোরে ঈদের দিন নামাজ শেষে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার ১৭ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আদেশের পর আসামিরা এজলাস কক্ষ থেকে বের হয়ে আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার পথে জয় বাংলা স্লোগান দেন বলে জানা গেছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার লালপুরে মামলায় এজাহারভুক্ত ১৯ আসামি নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মো. নাসিরুল হকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক দুইজনের জামিন মঞ্জুর করলেও বাকি ১৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসাহাক আলীসহ ১৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসহাক আলী, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, লালপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক পলাশ ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন প্রমুখ। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাজতখানায় নেওয়ার সময় সাবেক চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী জোরে জোরে বলতে থাকেন ইউনূস সরকারের পতন হবেই হবে। এ সময় অন্য আসামিরা জয় বাংলা বলে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোহা. মোস্তফা কামাল বলেন, লালপুরে রোজার ঈদের দিনের ঘটনায় হওয়া মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন আসামিরা। বৃহস্পতিবার নাটোর আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত দুইজনের জামিন মঞ্জুর করেন। আর ১৭ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩১ মার্চ লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর ঈদগাহ মাঠে রোজার ঈদের নামাজ শেষে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন।