ছবি : যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজবাড়ীর পাংশায় শ্বশুরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক জামাতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার যশাই ইউনিয়নের সমসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জামাতা মো. দাউদ মন্ডল তার ভাই ভাই মো. নাজমুল মন্ডল
ও বাবা মো. মিজান মন্ডলকে আটক করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার শ্বশুরের নাম মো. সাইদুল প্রামানিক। তিনি একই গ্রামের
মো. লিয়াকত প্রামানিকের ছেলে। শ্বশুর সম্পর্ক বাদেও অভিযুক্ত
দাউদের
সঙ্গে মামা-ভাগ্নে সম্পর্ক সাইদুলের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি বন্ধক নেওয়ার কথা বলেন ২০১৮ সালে ভাগ্নে
দাউদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেন মামা সাইদুল। টাকা নেওয়ার এক বছর পার হয়ে গেলেও জমি
দিতে পারেননি তিনি। পরে নিজের মেয়েকে ভাগ্নে দাউদের সঙ্গে বিয়ে দেন সাইদুল। এতে মামা-ভাগ্নের
সম্পর্ক গড়ায় জামাই-শ্বশুরে।
তবে পাওনা টাকা ছাড় দিতে রাজি নন জামাতা দাউদ। বিয়ের পাঁচ বছর পেরিয়ে
গেলেও জামাতাকে সেই টাকা ফেরত দেননি শ্বশুর সাইদুল। এ টাকাকে কেন্দ্র করে দাউদের সংসারে
অশান্তির সৃষ্টি হয়। পরে উত্তেজিত হয়ে শ্বশুরকে ধরে একটি সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে
রেখে নির্যাতন করেন দাউদ। খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সাইদুলকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সাইদুলের বোন ও দাউদের মা বলেন, ‘আমার ভাই অনেক দিন আগে টাকা নিয়েছে।
টাকা চাইলে আমাদের উপর অনেক নির্যাতন করে। বৃহস্পতিবার আবার বাড়ির উপর ঝামেলা করতে
আসছিলো তাই বেঁধে রেখেছিল আমার ছেলে।’
দাউদ বলেন, ‘জমি বন্ধক দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে মামা।
সেই টাকা আর ফেরত দেয়নি। পরে তার মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। প্রায় ৬ বছর হয়ে গেলেও
আমার টাকা দেয় না। উল্টো আজেবাজে কথা বলে। তাই বেঁধে রেখেছিলাম। পরে তারা পুলিশ ডেকে
আনে।’
পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে
ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় জামাতাসহ তিনজনকে আটক করা
হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
