Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ৭ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠাল বিএসএফ

Icon

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ১০:৫২ পিএম

ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ৭ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠাল বিএসএফ

ভারতের মুম্বাই শহরে দুই যুগ ধরে বসবাসের পর অবশেষে দেশে ফিরতে হলো পুশইনের মাধ্যমে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শুক্রবার ভোররাতে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্ত দিয়ে সাত বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। দিনাজপুর ব্যাটালিয়নের (৪২ বিজিবি) চাপসার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৪৭-এর দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবি জানায়, ফেরত আসা সাতজনের মধ্যে দুইজন পুরুষ, চারজন নারী এবং একজন শিশু রয়েছে। তারা দীর্ঘ ২০-২৫ বছর আগে দালালের সহায়তায় অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। পরে জীবিকার প্রয়োজনে মুম্বাইয়ে অবস্থান করছিলেন।

আটক বাংলাদেশিরা হলেন- সাহিনা বেগম (৪৬), স্বামী মো. শহীদ শেখ, মো. সাইফুল ইসলাম (৩০), পিতা মো. শহীদ শেখ, মো. শরিফুল শেখ (১৭), পিতা মো. শহীদ শেখ, রেকসোনা খাতুন (২৬), পিতা মো. শহীদ শেখ, মোছা. ছাবিনা খাতুন (২৪), পিতা মো. শহীদ শেখ (উল্লিখিত পাঁচজনের বাড়ি যশোর জেলার নোয়াপাড়া থানার গাজির হাট পেরুলী গ্রামে)। আয়না খাতুন (৩৫), স্বামী ফিজরুল খাঁ, আরিফা খাতুন (৪), পিতা ফিজরুল খাঁ (এই দুইজনের বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামে)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তারা পেশাগত জীবনের তাগিদে অবৈধভাবে মুম্বাই শহরে গমন করেছিলেন। মুম্বাই পুলিশ ৬-৭ দিন আগে তাদের আটক করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে এবং ভোরে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে পুশইন করে।

আটকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে আত্মীয়স্বজনদের সহায়তায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানায় হস্তান্তরের কাজ চলছে।

এ ঘটনার পর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশইন প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।

দিনাজপুর ৪২ বিজিবির সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান জানান, সীমান্ত এলাকায় মানব পাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অন্যান্য সীমান্ত-সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। এসব বিষয়ে স্থানীয়দের সচেতন থেকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম