গাবতলীতে বিল দখল নিয়ে দুপক্ষের মারামারি, বিএনপি নেতার মৃত্যু
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১১:২০ পিএম
প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার গাবতলীতে বিলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের মারধরে জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল (৫০) নামে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রোববার বিকালে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সকালে উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের সোনাকানিয়া সরকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের আহত যুবদল নেতা রেজাউল করিমসহ তিনজনকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজন ও গ্রামবাসী জানান, জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের সোনাকানিয়া সরকারপাড়ার মনসের সরকারে ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। গ্রামের একটি বিলের মালিকানা নিয়ে আত্মীয় মোফাজ্জল হোসেন সরকারের ছেলে ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম ও অন্যদের বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে রোববার সকালে দুপক্ষের মধ্যে লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে মারামারি হয়। এতে জুয়েল ও প্রতিপক্ষের রেজাউল করিম, তার ভাই তালহা ও বোন ফেন্সি আহত হন। আহতরা বগুড়া শজিমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন।
স্বজনরা দাবি করেন, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল প্রতিপক্ষের নিক্ষেপ করা ইটে বুক ও পায়ে আঘাত পান। বিকালে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে জুয়েল মারা যান।
এ প্রসঙ্গে প্রতিপক্ষ মহিষাবান ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিমের স্ত্রী সোনিয়া দাবি করেন, জুয়েল পক্ষকে কেউ মারধর করেনি। জুয়েল হৃদরোগী ছিলেন। কয়েক দিন আগে স্ট্রোক করেছিলেন। হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে। বরং জুয়েল পক্ষের ২০ থেকে ২৫ জন লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেছেন। এতে তার স্বামী, দেবর ও ননদ আহত হয়েছেন। তাদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় বগুড়ার গাবতলী থানার ওসি সেরাজুল হক ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসিফ ইকবাল বলেন, মৃত বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুয়েলের লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তার এক আত্মীয় চিকিৎসক। তিনি এসে পরীক্ষা করার পর যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেভাবে মামলা হবে।
