Logo
Logo
×

সারাদেশ

আত্মকর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে মাশরুম

Icon

মো. শাহীদুল ইসলাম শাহী, নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম

আত্মকর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে মাশরুম

নড়াইলে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে মাশরুম চাষ। সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের তরুণ কৃষক অসিত বসু নিজ উদ্যোগে এ চাষ শুরু করেন। তিনি এখন সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছেন।

তিনি চাষ করছেন তিন জাতের মাশরুম, যা বিক্রি হচ্ছে অনলাইন ও অফলাইনে। তার দেখাদেখি ওই এলাকায় আরও ৩০ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মাশরুম চাষে আগ্রহী হয়ে কাজ করছেন।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, পলিথিন মোড়ানো সাদা মাশরুম পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ নিয়ে অসিত বসু নিজের ঘরের এক কোণে মাশরুম চাষ শুরু করেন। প্রথমে ৫০টি স্পন দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে অসিতের খামারে রয়েছে দুই হাজার স্পন। খড়কুটো, কাঠের গুঁড়া, গমের ভুসি, ক্যালসিয়াম চুন ও পানি মিশিয়ে তৈরি করেন মাশরুম চাষের উপযোগী পরিবেশ। জীবাণুমুক্ত করার পর ২৮ দিন ল্যাবে রেখে তৈরি করেন মাদার টিস্যু। এরপর বিশেষ পরিবেশে প্যাকেটগুলোতে সুস্বাদু মাশরুম চাষ করেন।

অসিত জানান, আমি কৃষক পরিবারের ছেলে। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ঢাকায় ১০ দিনের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করি। পরে কৃষি অফিস থেকে চাষের উপকরণ, এমনকি মাশরুম দিয়ে চপ তৈরি করে সেগুলো বাজারে বিক্রির জন্য প্রেরণ করি। গত বছর তারুণ্যের মেলায় মাশরুমের চপ বিক্রি করে সাড়ে তিন লাখ টাকা আয় হয়। বর্তমানে মাসে আয় হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, মাশরুম চাষ সম্পর্কে অসিত ট্রেনিং পেয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী মাশরুম চাষ শুরু করেন। তার সঙ্গে আরও ৩০ জন ছোট ছোট উদ্যোক্তা আছেন। তারা একসঙ্গে কাজ করলে ওই এলাকাটা মাশরুম পল্লি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে। শিক্ষিত বেকার যুবকরা মাশরুম চাষে আগ্রহী হলে আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি  হবে। বিশেষ করে নারী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে এটি একটি ভালো সুযোগ। আর এই মাশরুম চাষের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতে পারে। এ রকম জনগোষ্ঠীকে একত্রিত করে দারিদ্র্য হ্রাসকরণে মাশরুম চাষিরা ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম