Logo
Logo
×

সারাদেশ

কালীগঞ্জের যুবলীগ নেতা আরিফ ঢাকায় আটক

Icon

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১০:২২ পিএম

কালীগঞ্জের যুবলীগ নেতা আরিফ ঢাকায় আটক

গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার কুখ্যাত সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলনের অন্যতম বিগত স্বৈরাচারী শাসনামলে কালীগঞ্জের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সহচর আরিফ মিয়াকে আটক করেছে ঢাকা ডিবি। 

সোমবার দুপুরে তাকে ঢাকার আগারগাঁও এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র। 

জানা যায়, যুবলীগ নেতা আরিফ মিয়া সাবেক আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকির কথিত পিএস সেলিম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এরা দলবদ্ধ হয়ে রাজনৈতিক ও পেশীশক্তির প্রভাব খাটিয়ে কালীগঞ্জ থানা নাগরী তুমুলিয়া, বক্তারপুর ও উপশহর এলাকায় বিশাল ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। স্থানীয় ও সাধারণ জনগণকে ভয়ভীতি, হুমকি, চাঁদাবাজি, হত্যার হুমকি দিয়ে জিম্মি করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার অর্থসম্পদের সম্পদের মালিক বনে যান বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন। 

জুলাই আন্দোলনকে দমন করার জন্য নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী দিয়ে বাড্ডা, ভাটারা, উত্তরা, আদাবর ও কালীগঞ্জ এলাকায় হত্যা, নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনের দমনপীড়ন করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । 

আত্মগোপনে থাকা এই যুবলীগ নেতা ঢাকা ডিবি কর্তৃক আগারগাঁও এলাকা হইতে আটক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ও কালীগঞ্জ থানায় একাধিক জুলাই আন্দোলনকে প্রতিহত করার সময় হত্যা, নির্যাতন সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে।


যুবলীগ সন্ত্রসী মো. আরিফ মিয়া নাগরিক ইউনিয়নের  উলুখোলা এলাকার মনসুর আলীর ছেলে। সে নাগরী ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় ২টি, ভাটার থানায় ১টি, আদাবর থানায় ১টি ও কালীগঞ্জ থানায় ১টিসহ মোট ৫টি বৈষম্যবিরোধী মামলা চলমান ও তদন্তাধীন রয়েছে। 


এ বিষয়ে বাড্ডা থানা  ও কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন মিয়া যুগান্তরকে বলেন- অভিযুক্ত ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় দুটি ও কালীগঞ্জ থানায় একটি  মামলা রয়েছে। তবে কালীগঞ্জ থানার মামলায় জামিনে  রয়েছেন তিনি। 

যুবলীগ নেতা পলাতক থাকাকালীন অবস্থায় গোপনে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থেকে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর পরিকল্পনার ছক আকার চেষ্টা করছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।


Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম