Logo
Logo
×

সারাদেশ

কাবিন ছাড়া ৭ বছর সংসারের পর...

Icon

গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম

কাবিন ছাড়া ৭ বছর সংসারের পর...

অভিযুক্ত সাইফুল্লাহ সিকদার।ছবি: যুগান্তর

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে কাবিননামা ছাড়াই এক নারীর সঙ্গে সংসার করার পর সন্তানসহ তাকে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাইফুল্লাহ সিকদার (৩০) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার র‌্যাব-১০ এর সহযোগিতায় সাইফুল্লাহকে নারায়ণগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শরীয়তপুর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।

গ্রেফতার সাইফুল্লাহ গোসাইরহাট উপজেলার বিনটিয়া গ্রামের সিরাজুল মনির সিকদারের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।

মামলায় ওই নারী উল্লেখ করেন, কাবিননামা ছাড়াই আমার সঙ্গে বছরের পর বছর সংসার করেছেন সাইফুল্লাহ; কিন্তু কোনো কাবিননামা করেননি। ৭ বছর ঘর-সংসার করার পর সন্তানসহ অস্বীকার করেছেন সাইফুল্লাহ। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাদীর বাড়ির পাশাপাশি সাইফুল্লাহর বাড়ি। এ সুবাদে বাদীর ঘরে আসা-যাওয়া করতেন সাইফুল্লাহ। একপর্যায়ে সাইফুল্লাহ বাদীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন; কিন্তু তিনি রাজি হননি। পরে বিভিন্ন প্ররোচনায় ফেলে ২০১৮ সালে সাইফুল্লাহর সঙ্গে বাদীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

তখন ভুক্তভোগীর বয়স ছিল ১৪ বছর। ওই সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন সাইফুল্লাহ। এ অবস্থায় বাদী অভিযুক্ত সাইফুল্লাহকে বিয়ের কথা বলেন।

একই বছরের ১৬ নভেম্বর পরিবার ছেড়ে তিনি সাইফুল্লাহর সঙ্গে তার বাড়িতে চলে যান। ওই সময় সাইফুল্লাহ তাকে একটি ঘরে নিয়ে যান। সেখানে মামলার আরেক আসামি সাজ্জাদ আলমের সহযোগিতায় কিছু ভুয়া কাগজপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিয়ে করেন। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি কাগজে সই নেওয়া হয়। 

ওই সময় অভিযুক্ত সাইফুল্লাহ বলেন, আজ থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী। তবে কী কাগজে সই নেওয়া হয়েছিল সেটি ভুক্তভোগী জানতেন না।

এ বিষয়ে বাদী বলেন, সাইফুল্লাহকে বিশ্বাস করে সংসার করেছি। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাকরি করতেন। এরপর থেকে সাইফুল্লাহ আমার কাছে টাকা দাবি করতেন।

আমি গহনা বিক্রি করে ও বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা এনে দিয়েছি। একপর্যায়ে আমি টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেই। 

এ নিয়ে চলতি বছরের ২৯ মার্চ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন সাইফুল্লাহ। এখন তিনি আমাকে এবং আমার সন্তানকে অস্বীকার করছেন। 

তিনি বলেন, আমার ছেলের বয়স ৩ বছর। এখন সাইফুল্লাহ বলছে, তিনি আমাকে বিয়েই করেননি। তার কোনো সন্তান নেই। তিনি আমার সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা করে সংসার করেছেন।

গোসাইরহাট থানার ওসি মো. মাকসুদ আলম বলেন, প্রতারণা করে কাবিন ছাড়া সংসারের পর সন্তানসহ অস্বীকার করায় মামলা করেন এক নারী। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম