Logo
Logo
×

সারাদেশ

মিলন হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

Icon

কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:২১ পিএম

মিলন হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

ছবি: যুগান্তর

চাঁদপুরের কচুয়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মাদ্রাসাছাত্র মো. মিলন হোসেনকে (১২) শ্বাসরোধ এবং পানিতে চুবিয়ে হত্যার দায়ে তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) এর বিচারক সৈয়দ তাফাজ্জল হোসেন হিরু এ আদেশ দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শামিম হোসেন (২৮) ও সোহাগ হোসেনকে (২৮) মৃত্যুদণ্ড এবং মো. রাব্বি হোসেনকে (২৮) যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। 

হত্যার শিকার মিলন হোসেন কচুয়া কান্দিরপাড় গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির মো. তাজুল ইসলামের ছেলে। মিলন স্থানীয় চাপাতলী মাদ্রাসা ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।  

আসামি শামিম হোসেন কান্দিরপাড় প্রধানিয়া বাড়ির মো. ইমাম হোসেন ও সোহাগ হোসেন পার্শ্ববর্তী পাড়াগাঁও গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাব্বি হোসেন কান্দিরপাড় গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে। 

জানা গেছে, মিলনের বাবা তাজুল ইসলামের সঙ্গে আসামিদের স্বজনদের সম্পত্তিগত বিরোধ ছিল। এ কারণে ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২৯ জুন দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে মিলন বাড়ি থেকে পাশের রহিমানগর বাজারে যায়। বাজার থেকে বাড়িতে না ফেরায় পরদিন ৩০ জুন কচুয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার ভাই মো. রিপন হোসেন (২৫)। এরপর ২ জুলাই স্থানীয়দের মাধ্যমে মিলনের পরিবার জানতে পারে, শামিম, সোহাগ ও রাব্বি মিলনকে হত্যার উদ্দেশে কান্দিরপাড় জনৈক ইব্রাহিম খলিলের ধনচের জমিতে নিয়ে পানিতে চুবিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। 

মামলার বাদী রিপন হোসেন জানান, আসামিদের নাম-পরিচয় জানার পর প্রথমে স্থানীয় লোকজন শামীমকে আটক করেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বাকি দুই আসামি সোহাগ ও রাব্বির নাম পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ২ জুলাই ঘটনাস্থল থেকে মিলনের লাশ উদ্ধার ও আসামিদের থানা হেফাজতে নেন। এ ঘটনায় ওই দিনই মিলনের বড় ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াজেদ আলী ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। 

সরকারপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলাটি দীর্ঘ ১০ বছর চলাকালীন ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। আসামির অপরাধ স্বীকার ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল হক কমল।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম