আশুগঞ্জে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পুলিশের সাত সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুরসহ একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের কারণে বুধবার ওই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০-১৫ দিন আগে উপজেলার বাহাপুরপুর গ্রামের মহাজনবাড়ি ও সরকার বাড়ির ছেলেদের মধ্যে ফুটবল খেলা নিয়ে ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে তা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই দুই গোষ্ঠীর ছেলেদের মধ্যে আবারও ফুটবল খেলা চলছিল। এ সময় মহাজন বাড়ির নুরুল হকের ছেলে ইয়াছিন পাশের একটি কবরস্থান থেকে ফুল ছিঁড়ে নিয়ে আসে। এরপর সরকার বাড়ির ফাইজুর রহমানের ছেলে আসিফ স্কুলের আঙিনা থেকে একটি ফুল ছিঁড়ে।
এ সময় ফুল ছেঁড়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ খবর পেয়ে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৮টার দিকে মহাজন বাড়ির পক্ষে মোল্লাবাড়ি, আছিরের বাড়ি ও সরকার বাড়ির পক্ষে জাকির মিয়ার বাড়ির লোকজন ছুরি, দা, টেঁটা, বল্লম ও লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে উভয়পক্ষের দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। সেই সময় সরকার বাড়ির পক্ষের একটি বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশের সাতজন সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ইটপাটকেলের নিক্ষেপে পুলিশের একটি পিকআপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহতরা আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম বলেন, মঙ্গলবার বাহাদুরপুর গ্রামের কবরস্থানের পাশে ফুটবল খেলা চলছিল। খেলা চলাকালে এক দর্শক কবরস্থানের একটি গাছ থেকে ফুলে ছিঁড়েন। ফুল ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বাহাদুরপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া ও পূর্বপাড়ার কয়েক গোষ্ঠীর লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে তাদের সংঘর্ষ। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের সাতজন সদস্য আহত হয়েছেন এবং পুলিশের একটি পিকআপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
