Logo
Logo
×

সারাদেশ

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর সন্তান প্রসব, দাদা কারাগারে

Icon

মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ০৭:২১ পিএম

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর সন্তান প্রসব, দাদা কারাগারে

গ্রেফতার রহমান মিয়া। ছবি: যুগান্তর

নরসিংদীতে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। ওই সন্তানকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় প্রতিবেশী রহমান মিয়া (৫৮) নামে একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  ধর্ষক রহমান মিয়া ওই গৃহবধূর সম্পর্কে দাদা হন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনোহরদী থানার ওসি মো. আব্দুল জব্বার। বুধবার রাতে ভুক্তভোগীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে রহমানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

অভিযুক্ত রহমান মিয়া মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে। 

জানা যায়, ভুক্তভোগীর মা একজন ভিক্ষুক এবং বাবা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। 

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার দেওনা এলাকার রাকিবুল হাসানের বিয়ে হয়। এক মাস পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানান। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সাত মাস আগে আনুমানিক দুপুর দেড়টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আব্দুর রহমান ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি গোপন রাখতে নানা ভয়ভীতিও দেখান তিনি। বিয়ের পর ঘটনাটি প্রকাশ পেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটিকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশের আয়োজন করা হলেও অভিযুক্ত রহমান দায় স্বীকার করেননি এবং মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হননি।

এদিকে গত ১৬ জুন ভুক্তভোগী নারী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয় কিন্তু সমাধান হয়নি।

এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ওসি আব্দুল জব্বার বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের ডিএনএ টেস্ট করা হবে। জন্ম নেওয়া শিশুটির পিতৃপরিচয় ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।

ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহমান মিয়া ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম