Logo
Logo
×

সারাদেশ

মাঝপথে বাস বিকল, পরীক্ষা দিতে পারলেন না অসুস্থ ঝর্ণা

Icon

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ০৯:৩১ পিএম

মাঝপথে বাস বিকল, পরীক্ষা দিতে পারলেন না অসুস্থ ঝর্ণা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর ৪৫ মিনিট পর কেন্দ্রে পৌঁছায় পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়নি অসুস্থ হওয়া এক পরীক্ষার্থীকে। মাঝপথে বাস বিকলের কারণে তিনি সময়মতো কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন চলছে তোলপাড়। চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

যদিও হল সুপার জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পরিবারসহ স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পরীক্ষার হলে যখন সবাই পরীক্ষা দিতে ব্যস্ত, তখন মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে হতাশায় আলিফ সোবহান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ঝর্ণা আক্তার। ঝর্ণার অভিযোগ ৪৫ মিনিট পর কেন্দ্রে পৌঁছায় তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

ঝর্ণা আক্তার জানান, আমি অসুস্থ থাকায় সিলেটে নানার বাড়িতে ছিলাম। ভেবেছিলাম সকাল সকাল গিয়ে আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হব; কিন্তু পথিমধ্যে পথে বাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেরি হয়ে যায়। ফলে আমি কেন্দ্রের ভেতর যেতে পারলেও শিক্ষকরা আমাকে হল থেকে বের করে দেন।

ঝর্ণা আরও বলেন, আমি বারবার তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ চাইলেও তারা তা দেননি।

শিক্ষার্থী ঝর্ণার ভাই ইমন মিয়া বলেন, অসুস্থতার কারণে ঝর্ণা সিলেটে নানার বাড়িতে অবস্থান করছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বাসে মিরপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে পথে বাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেরি হয়। পৌনে ১১টায় কেন্দ্রে পৌঁছলে তাকে হল থেকে বের করে দেন শিক্ষকরা। বোন কেঁদে কেঁদে বাড়িতে ফিরেছে। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রপ্রধান মো. আমির উদ্দীন বলেন, ওই শিক্ষার্থী দেরিতে আসার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ঝর্ণাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়ার সুযোগ ছিল না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, ওই শিক্ষার্থী ১ ঘণ্টা দেরি করে কেন্দ্রে যায়। যেহেতু আইন অনুযায়ী সে পরীক্ষা দিতে পারে না; তাই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

যদিও অনেকেই বলছেন, মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।

এদিকে জেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে মোট ১৭২ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা কল্যাণ ও প্রবাসী শাখার দায়িতপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আক্তার সেতু। তিনি জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় ১৪৩, কারিগরি পরীক্ষায় ৩ ও আলিম পরীক্ষায় ২৬ জন অনুপস্থিত ছিল।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম