শ্রীবরদীর ইউপি ভবনে বিদ্যুৎ নেই এক সপ্তাহ, ভোগান্তি
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখায় শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যৎ সমিতির শ্রীবরদী উপজেলা শাখা। এক সপ্তাহ ধরে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
গত ২০ জুন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন পরিষদে আসা সেবাগ্রহণকারীরা। তবে দ্রুত বিল পরিশোধ করা হবে বলে জানান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের জুন মাস থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট ৩ বছরে ৯৩ হাজার ৮৮৬ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে ওই ইউনিয়ন পরিষদের।
দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার কারণে একাধিকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়; কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় অবশেষে বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পল্লী বিদ্যুৎ।
বীরবান্দা এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন আহমেদ বলেন, জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে তিন দিন ধরে ঘুরছি কিন্তু ফেরত দিয়ে দিচ্ছে। সচিবের কম্পিউটার বন্ধ তাই কোনো কাজ করতে পারছে না। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।
মাদারপুর এলাকার বাসিন্দা রহিমদ্দিন বলেন, এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কয়েকটি মামলার আসামি। সে গ্রেফতারের ভয়ে অফিসেই ঠিকমতো আসে না। মানুষের সেবার প্রতি নেই কোনো আগ্রহ। আমি ঢাকা থেকে এসেছি একটি কাজের জন্য; কিন্তু বিদ্যুতের জন্য কাজ হলো না। দুই দিন বাড়ি থেকে আবার ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি।
ভাটি লঙ্গরপাড়া এলাকার খোকন মিয়া বলেন, গত ৪ দিন ধরে তার বাবার মৃত্যু সনদ তোলার জন্য পরিষদে ঘুরছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকার কারণে সনদ নিতে পারছেন না। এমন চেয়ারম্যান থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খাজা বাকীবিল্লাহ বলেন, আসলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারণে নাগরিকসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে কয়েকবার অবগতও করেছি।
খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া বলেন, এ বকেয়া খুব তাড়াতাড়ি পরিশোধ করা হবে। টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ার জন্য বকেয়া হয়ে গেছে। আমার আগের চেয়ারম্যানও বিদ্যুৎ বিলের টাকা বকেয়া রেখে গেছেন, তাই জমে গেছে।
শ্রীবরদী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সূর্য্য নারায়ণ ভৌমিক বলেন, খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ বিল অনেক বকেয়া হয়ে গেছে। তাদের বারবার অবগতও করা হয়েছে। অন্য অফিসের বকেয়া নিয়মিত পরিশোধ করা হলেও তারা করছিলেন না। তাই তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বকেয়া ও অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
