Logo
Logo
×

সারাদেশ

মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে শিশুর হাতে আরেক শিশু খুন

Icon

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম

মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে শিশুর হাতে আরেক শিশু খুন

নাটোরের বড়াইগ্রামে মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে ১২ বছর বয়সের এক শিশুর হাতে মিনহাজ হোসেন আবির (৯) নামে আরেক শিশু খুন হয়েছে। ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে অভিযুক্তকে (১২) গ্রেফতার করে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বনপাড়া পাটোয়ারী ফিলিং স্টেশনসংলগ্ন নির্মাণাধীন মসলা মিলের ফাঁকা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। 

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোভন চন্দ্র হোড় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের তথ্য জানান। 

নিহত আবির উপজেলার মহিষভাঙ্গা মহল্লার কাতার প্রবাসী মিলন হোসেনের একমাত্র ছেলে এবং বনপাড়া আদিব ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

অভিযুক্তও একই গ্রামের এবং সে মহিষভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র। 

নিহতের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে আবির তার বাবার ব্যবহৃত স্মার্টফোন ও তার বাইসাইকেলটি নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে আর ফেরেনি। সন্ধ্যায় তার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাতে স্বজনরা পাশের মসলা মিলের ফাঁকা মাঠে প্রথমে তার রক্তমাখা বাইসাইকেল ও স্যান্ডেলসহ আবিরের মাথা থেঁতলানো লাশ পান। 

থানা ও প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে আবির ও অভিযুক্ত একসঙ্গে বসে মোবাইলে গেম খেলছিল। এ সময় খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে সাইকেল ফেলে রেখে কিছু দূরে গেলে অভিযুক্ত পাশে পড়ে থাকা ইট দিয়ে আবিরের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে অভিযুক্ত তাকে পাশের ভ্ট্টুার শুকনা গাছের নিচে লুকিয়ে রেখে মোবাইলটি নিয়ে চলে যায়। শুক্রবার সকালে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলে সে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে এসব তথ্য জানায়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আবিরের মোবাইলটি জব্দ করা হয়।  

নিহতের বাবা মিলন হোসেন জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসার পর থেকে ছেলেটা বেশিরভাগ সময় আমার সঙ্গে থাকত। বৃহস্পতিবার মোবাইল ও সাইকেল নিয়ে সে ঘুরতে যায়। আমি বাড়িতে থেকেও আমার সন্তানকে নিরাপদ জীবন দিতে পারলাম না এ দুঃখ আমি রাখি কোথায়?

বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। শুক্রবার ওই শিশুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিহতের লাশের শুক্রবার ময়নাতদন্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম