Logo
Logo
×

সারাদেশ

পাবনা মানসিক হাসপাতালে এনএসআইর অভিযান, ৯ জনের কারাদণ্ড

Icon

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম

পাবনা মানসিক হাসপাতালে এনএসআইর অভিযান, ৯ জনের কারাদণ্ড

ছবি: যুগান্তর

রোগী হয়রানি এবং দালালমুক্ত করতে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়েছে। এতে ৯ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (২৯ জুন) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে চলে এ অভিযান। জেলা প্রশাসন ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।  

আটকরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কিসমত প্রতাপপুর গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. মুকাররম (৫০), মুনসুর আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪২), ইসলামপুর গ্রামের মৃত জামাল শেখের ছেলে মো. হালিম (৪০), আব্দুল লতিফ মন্ডলের ছেলে মানিক মন্ডল (২৪), হেমায়েতপুর গ্রামের মৃত সামাদ শেখের ছেলে মো. শফিকুল(৫৫), শহিদের ছেলে ছাবিত (১৯), মো. মুনজিরের ছেলে মো. মুন্নাফ (৩১), বুদের হাট গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা (৩০) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের মৃত ইসরাইলের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫)। 

গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের নিয়োগ করা বহিরাগত লোকের কাছে জিম্মি ছিল দেশের বিশেষায়িত পাবনা মানসিক হাসপাতাল। 

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগী এবং তাদের স্বজনরা এসব লোকদের খপ্পরে পরে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, এসব রোগীদের ফুসলিয়ে এবং কখনো জোর করে ধরে তাদের পছন্দের নিম্নমানের ক্লিনিকে নিয়ে অপচিকিৎসার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব লোকজন বিভিন্ন সরকারের সময় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নির্বিঘ্নে এসব অপকর্ম চালিয়ে যায় এবং বরাবরই থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিষয়টি নিয়ে এনএসআইয়ের বিশেষ টিম বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক হাসপাতালে পর্যবেক্ষণ করে এবং রোববার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৯ দালালকে হাতেনাতে আটক করে। পরে পাবনা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এক মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এনএসআইয়ের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম