গাজীপুরে আরবান হেলথ কেয়ারের কর্মীদের মানববন্ধন
গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নতুন করে পরবর্তী প্রকল্প শুরু হওয়া পর্যন্ত বর্তমানে কর্মরত সব কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়ে স্বাস্থ্যসেবার প্রকল্প কার্যক্রম চলমান রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আরবান হেলথ কেয়ারের কর্মীরা। একই দাবিতে তারা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
রোববার দুপুরে গাজীপুর নগর ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
স্মারক লিপিতে দাবি করা হয়, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট, দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পটির মেয়াদ জুন-২৫-এ শেষ হয়; কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা মোতাবেক বর্তমানে কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মীদের নিয়ে পরবর্তী প্রকল্প শুরু হওয়া পর্যন্ত প্রকল্পটি চলমান রাখার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২য় পর্যায় প্রকল্পটি সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। ২০১৪ সাল থেকে প্রকল্পটি পার্টনার এনজিওর মাধ্যমে গাজীপুর সিটি করপোরেশন পার্টনার এরিয়া-১, ২, ৩ হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে আরবান।
প্রকল্প এরিয়ায় ৩টি প্রকল্প অফিস ৩টি নগর মাতৃসদন ও ৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অবস্থিত কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতি মাসে হাজার হাজার নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কম মূল্যে ও বিনা মূল্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন একটি বিশাল জনবহুল এলাকা। তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে পূরণ করে আসছে।
গত কোভিড-১৯ কালে প্রকল্পের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধা হিসেবে সামনের সারিতে কাজ করেছে। প্রকল্পের ৩টি প্রকল্প অফিসে ১৫ জন, ৩টি নগর মাতৃসদনে ৯৬ জন ও ৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১১২ জনসহ সর্বমোট ২২৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানে নিয়োজিত আছেন; কিন্তু ৩০ জুন ২০২৫ প্রকল্পটির মেয়াদ সমাপ্ত হয়ে যাবে।
মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ১ জুলাই ২০২৫ হতে পরবর্তী প্রকল্প শুরু হওয়া পর্যন্ত বর্তমানে কর্মরত সব কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়ে স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য আবেদন জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে আরও জানানো হয়, বর্তমান প্রকল্পের অধীন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সমাপ্তির পর পরবর্তীতে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য স্বাস্থ্যসেবা হতে (এনজিও/হাসপাতাল) ৫০% আয়, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে সৃজিত কোডের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে ২৫% বরাদ্দ এবং সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব তহবিল/রাজস্ব আয়ের ১% ও সাসটেনন্যাবিলিটি ফান্ড হতে ২৫% অর্থের সংস্থান করার নির্দেশনা রয়েছে।
অভিযোগ করা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মাদ রহমত উল্লাহ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মনগড়া যেনতেন পদ সৃষ্টি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তিনি তার নিয়োগ বাণিজ্য ও একক স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে দুর্নীতির উদ্দেশ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাচ্ছেন।
প্রকল্পে বর্তমানে কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের কাছে দাবি জানানো হয়।
