নবাবগঞ্জে প্রতারণার শিকার বিকাশ ব্যবসায়ীরা
যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকার নবাবগঞ্জে একাধিক বিকাশ ব্যবসায়ী প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রতারক চক্রটি কৌশলে ব্যবসায়ীদের বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। প্রতারণার শিকার হয়ে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নানা কারণে পুলিশের দারস্থ হন না ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি এসব প্রতারণায় ঘটনায় দুইজন ব্যবসায়ী নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে প্রতারণার ঘটনাগুলো সামনে আসতে থাকে।
নবাবগঞ্জ উপজেলার নতুন বান্দুরা বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী অহিদুল ইসলাম বাবু। গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় তার পার্শ্ববর্তী দোকানদার মো. ফরিদের মোবাইলে কল দিয়ে নিজেকে আশা এনজিওর ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে নগদে ২৪ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন এক ব্যক্তি।
ফরিদ তখন বিকাশের ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন জানিয়ে ফোন ধরিয়ে দেন পাশে বসে থাকা আরেক ব্যবসায়ী অহিদুল ইসলাম বাবুকে। তখন ওই ব্যক্তি বাবুকে জানান তিনি বিকাশে ২৪ হাজার টাকা পাঠাবেন বিনিময়ে তার নগদে ওই টাকাটা সেন্ড মানি করতে হবে।
ব্যবসায়ী বাবু বলেন, ফোনে কথা বলতে বলতেই দেখি আমার বিকাশ নম্বরে ২৪৪৮০ টাকার একটি সেন্ড মানির মেসেজ আসে। আমি মেসেজটি ভালোভাবে চেক না করে তার নগদে (০১৬০০৪২৫২০১) ২৪ হাজার টাকা সেন্ড মানি করে দেই। পরবর্তীতে বিকাশের ব্যালেন্স চেক করে দেখি আমার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা যোগ হয়নি। তখন মেসেজটি দেখে বুঝতে পারি আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। এ ঘটনায় স্থানীয় নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তিনি বলেন, পরদিন বাজারের আরেক বিকাশ ব্যবসায়ী রাজীব সাহাকে একই ফাঁদে ফেলে চক্রটি। তার নগদে টাকা থাকায় তিনি লোক মারফত আমার কাছে টাকা পাঠাতে আসেন। তবে ঘটনা বুঝতে পেরে আমি ওই নাম্বারে আর টাকা পাঠাইনি।
ব্যবসায়ী রাজিব সাহা বলেন, ১৪ জুন সন্ধ্যায় আমার পাশের দোকানদার প্রণব বণিকের মোবাইলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নিজেকে আশা এনজিও ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে আমার বিকাশ নাম্বার চায়, আমি তাকে নম্বর দিলে সে ২৪৪৮০ টাকার একটি সেন্ড মানি করেন আমার নম্বরে। আমি মেসেজ পেয়ে প্রণব সাহাকে ২৪ হাজার টাকা ক্যাশ বুঝিয়ে দিয়ে অন্য দোকান থেকে নগদে টাকাটা পাঠাতে বলি।
পরবর্তীতে আমি মেসেজ দেখে নিশ্চিত হই ভুয়া মেসেজ পাঠিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তবে আরেক ব্যবসায়ী বাবু ভাইয়ের বুদ্ধিমত্তায় আমি টাকা ফেরত পেয়েছি।
দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়ে প্রতারক চক্রটিকে ধরতে প্রশাসন কাজ করছে। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের লেনদেনে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।
