কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রয় (ওএমএস) ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে পুরাতন তালা ভেঙে নতুন তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। 

মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে খাদ্য বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসন। সোমবার এ ঘটনার পর রাত পর্যন্ত তালা ঝুলছিল বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। 

তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় নেতৃত্ব দেন লালমাই উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. নোমান হোসেন ও সদস্য সচিব মো. সাদ্দাম বিন হোসাইন।  

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, লালমাই উপজেলায় বাগমারা বাজার, হরিশ্চর ও ভুশ্চি বাজারের জন্য ডিলার নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওএমএস ডিলার নিয়োগে আবেদন ক্রয়ের শেষ তারিখ ছিল ১৯ জুন। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২২ জুন। রোববার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজানা আক্তার সরেজমিনে ৮টি আবেদন যাচাই করেন এবং দোকান পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন কারণে কয়েকজনের আবেদন বাদ পড়ে। পরে যোগ্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। 

তবে কুমিল্লা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসাইন রুমন, লালমাই উপজেলার আহ্বায়ক মো. নোমান হোসেন, সদস্য সচিব মো. সাদ্দাম বিন হোসাইন বলেন, লালমাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত) রাজিব কুমার দে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ডিলার নিয়োগ দেওয়ায় আমরা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের তালা ভেঙে সাময়িকভাবে নতুন তালা লাগিয়ে দিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। মঙ্গলবার মানববন্ধনসহ কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তালা থাকবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত) রাজিব কুমার দে বলেন, বিধি মোতাবেক সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ডিলার চূড়ান্ত করা হয়। যারা বাদ পড়েছেন, তাদের বাদ পড়ার কারণও আছে; কিন্তু সব না জেনেই তারা অফিসে তালা দিয়েছেন। 

লালমাই ইউএনও হিমাদ্রী খীসা বলেন, তালা দেওয়ার ঘটনা সঠিক। আমার জানামতে, ওএমএস ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। যেহেতু একটি অভিযোগ উঠেছে বিষয়টি তদন্ত করে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।