আজও উদ্ধার হয়নি চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র-গোলাবারুদ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০২:০৯ পিএম

ফলো করুন |
|
---|---|
২০২৪-এর ৫ আগস্ট বিকালে নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হামলাকারীরা লুট করে নেয় দুই থানাতে থাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদ। এর মধ্যে ২২টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পুলিশ জানায়,
৫ আগস্ট হামলাকারীরা চাটখিল থানা থেকে ৫৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫৪০০টি গোলাবারুদ, চারটি
গ্যাসগান, চারটি পিস্তল, ৮টি শটগানসহ থানার মূল্যবান আসবাবপত্র লুটে নেয়। এরপর বিভিন্ন
সময় লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এসব অভিযানে ৫১টি
আগ্নেয়াস্ত্র, ৩০০৩টি গোলাবারুদ, দুটি গ্যাসগান উদ্ধার করা হয়। তবে লুণ্ঠিত বাকি অস্ত্র
উদ্ধার করা যায়নি।
সোনাইমুড়ি থানার কথা টেনে ওই বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, ওই দিনে সেখান ৫৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, চার হাজার ৭০৯টি গোলাবারুদ, সাতটি গ্যাসগান
লুট হয়। এর মধ্যে ৪৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, দুই হাজার ৪৬টি গোলাবারুদ ও সাত গ্যাসগান উদ্ধার
করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এখনো উদ্ধার হয়নি চারটি চায়না রাইফেল, একটি এসএমজি, তিনটি
পিস্তল ও পাঁচটি শর্টগান।
থানা দুটি থেকে লুন্ঠিত অস্ত্র কোথা থেকে
উদ্ধার করা হয়েছে সে সম্পর্কে ওই বিজ্ঞপ্তিতে কিছু জানানো হয়নি।
এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট থেকে ৩১
মে পর্যন্ত পুলিশ দেশীয় ও বিদেশি অস্ত্রসহ ৮৪ জনকে গ্রেফতার করে। এসব ঘটনায় ৮৪টি মামলা
রেকর্ড করা হয়। এসব ঘটনায় ১৫টি বিদেশি পিস্তল, দুটি দেশি বন্দুক, ১০টি একনলা বন্দুক,
৬টি ওয়ান শুটার গান, ৩৮টি এলজি, একটি দেশিয় রিভলবার, সাতটি পাইপগান, তিনটি চায়না রাইফেল,
ছয়টি শর্টগান, ৯১২ রাউন্ড গুলি, ১৩০ রাউন্ড কার্তুজ, ১৪টি ম্যাগজিন, তিনটি টিয়ার সেল,
২০টি ককটেল, একটি চার্জার, একটি গ্যাসসেল, চাইনিজ কুড়াল ১৮টি, ১০টি রামদা, ২৪টি ছোরা,
১৬টি কিরিচ, দুটি তলোয়ার, একটি ডেগার, চারটি চাপাতি, ১৭টি প্যারাসুটসহ ৯৯টি অন্যান্য
অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।