বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবে পরিবারের সদস্যরা। এমন সময় বাড়ির পাশের রথযাত্রার মেলায় যাওয়ার বায়না ধরে ছোট শিশু। শত বুঝালেও বিয়ে বাড়িতে যেতে নারাজ সে। একপর্যায়ে হাতে কিছু টাকা দিয়ে একা বাড়িতে রেখেই চলে যায় মা। কয়েক ঘণ্টা পর বাড়িতে এসে রান্না ঘরের দরজা খুলতেই দেখে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থা ঝুলছে মেয়ের লাশ।

শনিবার (৫ জুলাই) রাতে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সাতপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত শিশু রাখি মজুমদার (৬) ওই গ্রামের ফার্নিচার শ্রমিক শিশির মজুমদারের মেয়ে। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়তো। 

খবর পেয়ে শনিবার রাতে লাশটি উদ্ধার করে রাজৈর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি রহস্যজনক বলছেন পুলিশ।

নিহতের স্বজন কালীদাস মজুমদার জানান, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এলাকার একটি বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায় রাখির পরিবারের লোকজন। পরে ফিরে এসে রান্না ঘরের দরজা খুলে রাখির মা। এ সময় রাখিকে রান্নাঘরের চালের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখতে পান তিনি। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে রাখি বেঁচে নেই বলে জানানো হয়। পরে লাশ বাড়িতে এনে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘সবাই চেয়েছিল বিয়ে বাড়ি থেকে খেয়ে এসে রথযাত্রার মেলায় যাবে। কিন্তু, রাখি বায়না ধরেছিল দুপুর বেলাই মেলায় যাবে। কিছুতেই বিয়ে বাড়িতে যেতে রাজি হচ্ছিল না। তাই মেলায় যাওয়ার জন্য রাখিকে কিছু টাকা দিয়ে সবাই বিয়ে বাড়িতে চলে গিয়েছিল। রাখির বাবা ঢাকায় থাকে এবং সেখানেই ফার্নিচার তৈরির কাজ করে।’

রাজৈর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন, ‘ঘটনাটি সন্দেহজনক। রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । রিপোর্ট হাতে পেলে শিশুটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’