বৃদ্ধাকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ জাসাস নেতার বিরুদ্ধে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম

নেত্রকোনার বারহাট্টায় শারিন আক্তার (৬০) নামের এক নারীকে মারধর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জাসাসের সদস্য সচিব অলি উল্লাহ রায়হানের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে বাহাদুরপুর গ্রামে ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত অলি উল্লাহ রায়হান উপজেলা সদরের গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা। আর ভুক্তভোগী শারিন আক্তার বাহাদুরপুর গ্রামের প্রয়াত বিএনপি নেতা মো. হাবিবুর রহমানের স্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শারিন আক্তার সম্পর্কে অলি উল্লাহের মামি হন। সম্প্রতি শারিন আক্তারের বিষয় সম্পত্তি নিয়ে অলি উল্লাহের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। শনিবার দুপুরে অলি উল্লাহ তার সৎ মা হাসিনা মমতাজকে নিয়ে শারিনের বাড়িতে এসে হাজির হন। এ সময় শারিন ঘরের দরজা বন্ধ করতে চাইলে অলি উল্লাহ জোর করে ঘরে ঢুকেন। শারিন বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয়। পরে তিনি ঘরের থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে সোকেচে রাখা দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন শারিনকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়।
এ ঘটনায় শারিনের মেয়ে পপি আজাদ শনিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পপি আজাদ রোববার জেলা প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিকদের বলেন, অলি উল্লাহ আমাদের ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুরসহ আমার বৃদ্ধ মাকে বেধড়ক মারধর করে দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তার রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। এ ছাড়া কোনো পদক্ষেপও নিচ্ছে না পুলিশ। অলি উল্লাহ এখন অব্যাহত আমাদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অলি উল্লাহ রায়হান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ঘরে ঢুকে হামলা বা ভাঙচুর কিংবা টাকা লুট করিনি। এটা মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। শারিন আক্তার সম্পর্কে আমার মামি হন। তার সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। পরে তিনি দরজা বন্ধ করে দিলে আমার মা রাগান্বিত হয়ে কাঁচের গ্লাস ভেঙে ফেলেন। এ ছাড়া আর কিছু হয়নি।
জেলা জাসাসের আহ্বায়ক সাদমান পাপ্পু জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। এ ধরনের ঘটনা যদি ঘটে থাকে তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে অলি উল্লাহের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।