বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব নিল চিটাগং ড্রাইডক
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে নৌবাহিনীর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড।
রোববার রাত ১২টার দিকে বিদ্যমান বেসরকারি অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড দীর্ঘ ১৭ বছর পর এ টামির্নাল পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করে। ড্রাইডক লিমিটেড রোববার প্রথম দিনের মতো এনসিটি পরিচালনা করে।
চট্টগ্রামে বন্দরে বছরে প্রায় ৩২ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়ে থাকে। এর ৪৪ শতাংশই হ্যান্ডলিং হয় এনসিটিতে। আগামী ৬ মাসের জন্য এই টার্মিনাল পরিচালনা করবে নৌবাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানিয়েছে, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি বা ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডে (ডিপিএম) পদ্ধতিতে এনসিটি পরিচালনার কাজ পেয়েছে চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড।
রোববার (৬ জুলাই) এনসিটি পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের। অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তির মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পাশপাশি এ টার্মিনাল পরিচালনায় আন্তর্জাতিক মানের বিদেশি অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।
দুবাইভিত্তিক অপাটের প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে এ নিয়ে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যদিও চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক, বিএনপি, জামায়াত, বামজোটসহ বিভিন্ন সংগঠনে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি অপাটের নিয়োগের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এনসিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হবে বলেও তারা অভিযোগ করে আসছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, সাইফ পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রোববার রাত ১২টার দিকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে নৌবাহিনী পরিচালিত চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড।
আগের অপারেটরের সঙ্গে যেসব শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন, তারাই এনসিটি পরিচালনার সঙ্গে থাকছেন। টার্মিনালটি আগে যেভাবে চলত, সেভাবেই পরিচালিত হবে। শুধু ব্যবস্থাপনার বদল হয়েছে।
তিনি বলেন, চিটাগং ড্রাইডকের সঙ্গে কার্যাদেশের আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত সেরে ফেলা হবে। এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। এখানে ২ হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি যুক্ত করে বন্দর। শুরু থেকে ১৭ বছর ধরে কখনো টেন্ডারের মাধ্যমে, কখনও ডিপিএম পদ্ধতিতে এ টার্মিনাল পরিচালনা করে আসছিল সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড।
এনসিটিতে তাদের প্রায় দেড় হাজার জনবল কাজ করে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এই টার্মিনাল পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থেকে সাইফ পাওয়ার বিদায় নিলেও তাদের জনবলই কাজ করছে। কারণ এ টার্মিনালে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরিচালনা বা কনটেইনার ওঠা-নামার কাজে কারিগারিভাবে প্রশিক্ষিত যে জনবল তা সৃষ্টি করেছে সাইফ পাওয়ার।
বন্দর সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে চারটি কনটেইনার টার্মিনাল রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় এনসিটি। এখানে পাঁচটি জেটি রয়েছে। চারটিতে কনটেইনার জাহাজ, একটি জেটিতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী ছোট জাহাজ ভেড়ানো যায়।
