বরগুনা জেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছায় বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুর রহমান তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মোশাররফ হোসেন বরগুনা সদরের আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নঈমুল ইসলাম ২০২৩ সালের ১৭ মার্চের ঘটনা দেখিয়ে ৩০ এপ্রিল বরগুনা থানায় ১৫৮ জনসহ অজ্ঞাত দুই শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

সেই মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর ও সদ্য বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকুকে। 

মোশাররফ হোসেন ২ জুন হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে ৬ সপ্তাহের মধ্যে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর আলহাজ মো. নুরুল আমীন বলেন, মহামান্য আদালত তাকে জামিন দেননি। এছাড়া মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে অগ্নিসংযোগের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী মজিবুর রহমান ফরহাদ বলেন, মোশাররফ হোসেন বহু বছর আগে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করে আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে হয়রানি করার জন্য প্রায় তিন বছর আগের একটি কাল্পনিক ঘটনা দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে। যিনি বাদী হয়েছেন তিনি বিএনপির কোনো নেতা নন।