Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রস্তুতি সভা শেষে বিএনপির দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১৫

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:৩২ পিএম

প্রস্তুতি সভা শেষে বিএনপির দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১৫

বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রস্তুতি সভা শেষে দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ১১ জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকালে তালুকদার বাজারে।

জানা গেছে, আগামী ১৭ জুলাই চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল। ওই কাউন্সিল উপলক্ষে বৃহস্পতিবার তালুকদার বাজারের একটি মাদ্রাসার প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। ওই প্রস্তুতি সভায় ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯নং ওয়ার্ডের বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

প্রস্তুতি সভায় ছালাম মল্লিক ও হাসান বয়াতি ৮নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি পদ দাবি করেন। এ নিয়ে ওই সভায় কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে হাসান বয়াতির ভাইয়ের ছেলে সোহাগ বয়াতিকে ছালাম মল্লিকের ছেলে শাহীন মল্লিক মারধর করে।

খবর পেয়ে সোহাগ বয়াতির বাবা ইদ্রিস বয়াতি তার ছেলেকে মারধরের বিষয়টি জানতে ছালাম মল্লিকের কাছে আসেন। ওই সময় দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। পরে উভয়পক্ষ হাসপাতালে যাওয়ার পথে পুনরায় ওই বাজারের চৌরাস্তায় সংঘর্ষ হয়।

দফায় দফায় সংঘর্ষে দুইপক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ইদ্রিস বয়াতি (৪০), সাগর (১৫), আল মামুন (২৬), সোহাগ বয়াতি (২১), ইমরান মাতুব্বর (১৮), হিরণ মৃধা (২৩), হাসান বয়াতি (৩২), শাহীন মল্লিক (২৫), সালাম মল্লিক (৫২), নুর আলম মল্লিক (২১) ও আসিফ মল্লিককে (২২) আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সভাপতি পদপ্রার্থী হাসান বয়াতি বলেন, ছালাম মল্লিক গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করেছেন। এখন তিনি ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটির পদ দাবি করেন। আমার ভাইয়ের ছেলে সোহাগ বয়াতি এর প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ভাইয়ের ছেলেকে ছালাম মল্লিকের ছেলে শাহীন মল্লিক মারধর করেছে। এর জের ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। মারধরে আমার পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।

ছালাম মল্লিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কথা বলায় আমার ছেলের সঙ্গে হাসান বয়াতির ভাইয়ের ছেলের কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আমার পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন।

চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মো. রেজাউল করিম পান্না বলেন, প্রস্তুতি সভা শেষে পদ-পদবি নিয়ে ছালাম মল্লিক ও হাবিব বয়াতির লোকজনের সঙ্গে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইপক্ষেরই কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ঘটনা শুনেছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. লুনা বিনতে হক বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম