Logo
Logo
×

সারাদেশ

যমুনা নদী-হাওড়ের মাছ বলে পচা কাতল-বোয়াল বিক্রি

Icon

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম

যমুনা নদী-হাওড়ের মাছ বলে পচা কাতল-বোয়াল বিক্রি

ফেনীর সোনাগাজীতে অভিযান চালিয়ে ১৮০ কেজি বড় বড় পচা কাতল ও বোয়াল মাছ জব্দের পর সেগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। এ সময় ভারত থেকে আনা মাছকে যমুনা নদী ও হাওড়ের মাছ বলে বিক্রি করার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (১০ জুলাই) রাতে উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের ডাকবাংলা বাজারের রাস্তার পাশে মাছ বিক্রি করার সময় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার লুবনা।

খোঁজ নিয়ে না গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকবাংলা বাজারে ভারত থেকে নিয়ে আসা বড় বড় পচা কাতল ও বোয়াল মাছ বিক্রির সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় অভিযানে ১৮০ কেজি পচা মাছ জব্দ করা হয় এবং মাছ ব্যবসায়ী কিশোরগঞ্জ জেলার উকিলপাড়া গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে মো. আরজুকে আটক করা হয়। মাছ বিক্রির সময় ভারত থেকে আনা মাছকে যমুনা নদী ও হাওড়ের মাছ বলে বিক্রি করে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের দায় ভুল স্বীকার করে প্রথমবারের মতো ক্ষমা চাইলে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সোনাগাজী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ মুমিদ রায়হান, মেরিন ফিশারিজ অফিসার।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাছলিমা আকতার যুগান্তরকে বলেন, ১১টি বড় (কাতলা ও বোয়াল) মাছ বুধবার সন্ধ্যার দিকে কচুরিপানা দিয়ে সাজানো বড় বড় কুপি বাতি লাগিয়ে জনসাধারণের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মাছগুলো বিক্রি করছিল প্রতারক চক্র। মাছগুলো ঝাঁজালো গন্ধযুক্ত, পচা ও মাছের ফ্লেশ নষ্ট হওয়া ছিল; যা খাওয়ার যোগ্য নয়। এজন্য ভোক্তা অধিকার আইনের ৩৬ ও ৪১ ধারায় জব্দকৃত মাছ উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিততে উপজেলার চরখন্দকারে ঘাটের পাশে বৃহস্পতিবার সকালে মাটিচাপা দিয়ে ধ্বংস করা হয়। এভাবে জনসচেতনা সৃষ্টিতে হাটবাজারে অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

অভিযানের সময় প্রায় ৩০ কেজি শিং মাছ জীবিত ও ভালো থাকায় মাছগুলো তাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এমন মাছ মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। মাছগুলো শহর অঞ্চলে ভারতীয় ও মিয়ানমারের কাতল ও বোয়াল মাছ হিসেবে পরিচিত।

তারা উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে জানান, এভাবে প্রতারকদের ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিলে সাধারণ মানুষ সচেতন হবে এবং প্রতারকের হাত থেকে মুক্তি পাবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম