Logo
Logo
×

সারাদেশ

যুবলীগ নেতা ভাগ্নের বিচার চেয়ে মামার সংবাদ সম্মেলন

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০১:০৮ এএম

যুবলীগ নেতা ভাগ্নের বিচার চেয়ে মামার সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহীতে ভাগ্নের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওয়াসিমুল হক নামের এক ব্যক্তি। তিনি জেলার পবা উপজেলার একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। তার ভাগ্নে আল ফারুক আহমেদ ওরফে নতুন পবার নওহাটা পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছে।

আওয়ামী সরকারের পতনের পর দলটির নেতারা আত্মগোপনে থাকলেও ফারুক এখনও প্রকাশ্যেই আছেন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহীর একটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ওয়াসিমুল হক। তার অভিযোগ, আওয়ামী আমলে ভাগ্নে ফারুক ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা নিয়েছেন। এখনও তিনি টাকার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া খাতুনের ভাই স্থানীয় যুবদল নেতা মো. জনির কারণে ফারুক এখনও বেপরোয়া।

লিখিত বক্তব্যে ওয়াসিমুল বলেন, ‘আওয়ামী জমানায় তৎকালীন এমপি আয়েন উদ্দিনের ছত্রছায়ায় ফারুক এলাকায় নানা অপকর্ম করেছেন। তার উচ্ছৃঙ্খল ও বেপরোয়া চাল চলনের জন্য আমি তার সঙ্গে মিশেনি। কিছুদিন ধরে ফারুক আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছে। আমি রাজি হয়নি বলে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পবার ভুগরইল এলাকায় আমার ব্যক্তিগত কার্যালয় ভাঙচুর করতে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময় ফারুক একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে লোকজন তাকে থামিয়ে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু রাতে ফারুক আমার বাড়িতে হামলা করে।’ ওয়াসিমুলের দাবি, এসব ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তার কাছে রয়েছে। এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে তিনি রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু, ফারুকের স্ত্রী তানিয়া খাতুনও তাদের নামে উল্টো অভিযোগ করেছেন যে, পাওনা টাকা নিতে ডেকে নিয়ে ফারুককে মারধর করা হয়েছে।

মামা ওয়াসিমুল বলেন, ‘ফারুক আমার কাছে কোন টাকাই পাবে না। বরং, তার ব্যাংক ঋণের জন্য আমি তাকে প্রায় ৮০ লাখ টাকা দিয়েছি। তাকে চেম্বারে ডাকার প্রশ্নই ওঠে না। আমরাই তার ভয়ে দূরে দূরে থাকি। সে টাকার জন্য আমার চেম্বারে ভাঙচুর করতে আসে। সে মারধর, টাকা ছিনতাই ও প্রাণনাশের হুমকির যে অভিযোগ এনেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’

ভাগনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করারও অভিযোগ তুলে ধরেন ওয়াসিমুল বলেন, ‘সম্প্রতি নগরীর বোয়ালিয়া থানায় হওয়া একটি মামলায় ভাগ্নে ফারুক আমাকে ফাঁসিয়েছে। ওই মামলায় আমাকে আসামি করা হয়। পরে ভুল বুঝতে পেরে মামলার বাদী এফিডেফিট করে মামলা থেকে আমার নাম প্রত্যাহার করেছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা ফারুকের ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন দেওয়া হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। পরে তার স্ত্রী তানিয়া খাতুনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘ও এখন বাসায় নেই।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম