সাগরে ড্রোন উড়িয়ে অভিযানে বিমানবাহিনী, অরিত্রের খোঁজ মিলছে না
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:০২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানকে উদ্ধারে ড্রোন উড়িয়ে অভিযান চালাচ্ছে বিমান বাহিনী।
শনিবার সকাল থেকে সাগরপারে শুরু হয় প্রযুক্তিনির্ভর এ অনুসন্ধান।
উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অরিত্র গত মঙ্গলবার সকালে বন্ধুদের সঙ্গে হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে সাগরে ভেসে যান।তখন তার সঙ্গে ছিলেন সহপাঠী কেএম সাদমান রহমান ও আসিফ আহমেদ।তাদের দুজনের লাশ ভেসে এলেও খোঁজ মেলেনি অরিত্রের।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, উদ্ধার কাজে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।ড্রোন ছাড়াও জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী, লাইফগার্ড, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত টিম বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে।
তিনি জানান, সম্ভাব্য সব এলাকা—বিশেষ করে মহেশখালী, সোনাদিয়া ও কুতুবদিয়া সংলগ্ন উপকূলজুড়ে নজরদারি চলছে।স্থানীয় জেলে ও নৌযান মালিকদের সঙ্গেও সমন্বয় রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল পৌনে ৭টার দিকে হিমছড়ি পয়েন্টে তিন বন্ধু একসঙ্গে গোসলে নামেন।কিছু সময় পরে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে যান তারা।দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার হয় কেএম সাদমানের লাশ।বুধবার সকালে কক্সবাজার শহরের উত্তর নাজিরারটেক এলাকার সৈকতে ভেসে আসে আসিফ আহমেদের লাশ।তবে অরিত্রের কোনো সন্ধান মিলছে না।
উদ্ধার অভিযানে থাকা বেসরকারি সংস্থা ‘সি সেফ লাইফগার্ড’-এর আঞ্চলিক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা প্রতিদিন উপকূলীয় অঞ্চল ও নদীর মোহনায় খোঁজ করছি।কিন্তু এখনো কোনো সাড়া মেলেনি।
অরিত্র হাসানের বাড়ি বগুড়া জেলায়।তার বাবা সাকিব হাসান একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকের সিনিয়র সাব-এডিটর।ছেলের নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কক্সবাজারে ছুটে আসেন।সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে অরিত্রের বাবা-মায়ের একটাই প্রার্থনা—ছেলে যেন জীবিত ফিরে আসে।
অরিত্রের বাবা সাকিব হাসান বলেন, সোমবার পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজারে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল অরিত্র।আমি বারণ করেছিলাম।পরদিন সকালে খবর পাই, সে নিখোঁজ।এরপর থেকে সাগর পাড়ে অপেক্ষা করছি।ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে কান্নায়।
