ফেনীতে বন্যায় ৫ হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষতি
যুগান্তর প্রতিবেদন ও ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফেনীতে এবারের বন্যায় ৫ হাজার ৫৬৪ দশমিক ৬১ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মৎস্য খাতে ৮ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং প্রাণিসম্পদে ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ এ তথ্য দিয়েছে। তবে এটি প্রাথমিক তথ্য, পানি পুরোপুরি নেমে গেলে চ‚ড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র জানাবে সংস্থাটি।
বন্যায় পানির তীব্র স্রোতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩৬টি অংশ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এরমধ্যে ওইসব নদীর পরশুরামে ১৯টি ও ফুলগাজীতে ১৭টি স্থানে ভেঙেছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, শুক্রবার থেকে বোর্ডের কর্মকর্তারা সরেজমিন ঘুরে ভাঙনের চ‚ড়ান্ত পরিসংখ্যান দিয়েছেন। পানি নেমে গেলে ভাঙন অংশের মেরামত শুরু হবে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ইতোমধ্যে ৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তিনি আরও জানান, জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাড়ে ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে শুকনো খাবার, গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্যের জন্য আরও ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী নৌযানের মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে।
এদিকে ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু অংশে এখনও লোকালয়ে পানি জমে আছে।
বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিএনপির মনিটরিং সেল গঠন : কুমিল্লা-ফেনী-নোয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ তদারকিতে মনিটরিং সেল গঠন করেছে বিএনপি। রোববার দলের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজউদ্দিন নসু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রোববার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সভাপতিত্বে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গঠন করা হয় মনিটরিং সেল।
সেলের সদস্যরা হলেন- আকরামুল হাসান মিন্টু, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল। তারা বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
