যশোরে এসএসসি পরীক্ষা
কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের ভুলে রসায়নে ফেল করা সেই ৪৮ শিক্ষার্থীই উত্তীর্ণ
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে যশোর সদর উপজেলার একটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভুলে ৪৮ জন পরীক্ষার্থীর রসায়ন বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছিল। তিন দিন পর সংশোধিত ফলাফলে তাদের অনেকেই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া ৩২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষার ফল যোগ না হওয়ায় তাদের ফেল দেখানো হয়েছিল। পরবর্তীতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে রোববার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত ফলে তারা রসায়ন বিষয়ে উত্তীর্ণ হওয়ায় সামগ্রিক ফলাফলেও কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে।
তাদেরই একজন সাড়াপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী মিয়ারাজ ইসলাম। সে জানায়, জিপিএ-৫ হবে এমন আত্মবিশ্বাস ছিল আমার। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঘোষিত ফলাফলে ১০টি বিষয়ের মধ্যে আটটিতে জিপিএ-৫, একটিতে এ গ্রেড ও রসায়ন বিষয়ে অকৃতকার্য হিসেবে ফল আসে। আজ (রোববার) শিক্ষা বোর্ডের ফল সংশোধনীতে জিপিএ-৫ এসেছে। এই কয়েক দিন তার বাবা-মাসহ পরিবারের কারো খাওয়া-ঘুম ছিল না। বাড়ির সবার মন খারাপ ছিল। এখন জিপিএ-৫ পেয়ে তার বাড়ির সবাই খুব খুশি।
জানা যায়, যশোর সদরের পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এ বছর ছয়টি বিদ্যালয়ের ৩২৯ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল ৪৮ জন। বিজ্ঞান বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখানো হয়। ফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেখেন- রসায়ন বিষয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এরপর সব স্কুল থেকে কেন্দ্র সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন কেন্দ্র সচিব মো. খান জাহান আলী ফল সংশোধনের জন্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে চিঠি দেন। বোর্ডে যাচাই করে দেখা যায় ওই শিক্ষার্থীদের রসায়ন বিষয়ে ব্যবহারিক নম্বর যোগ হয়নি। এরপর কেন্দ্র থেকে পাঠানো ব্যবহারিক বিষয়ের নম্বর যোগ করে রোববার সংশোধিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
কেন্দ্র সচিব খান জাহান আলী বলেন, কী কারণে বিজ্ঞান বিভাগের সবার রসায়ন বিষয়ে অকৃতকার্য এলো তা আমরা বুঝতে পারিনি। ফল সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করার পর আজ শিক্ষা বোর্ড গিয়ে ৪৮ জনের ফলাফল সংশোধন করা হয়।
এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুল মতিন সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্র থেকে রসায়ন বিষয়ের প্রাকটিক্যাল (ব্যবহারিক) পরীক্ষার নম্বর পাঠানো হয়নি। এজন্য ৪৮ শিক্ষার্থীর ফলাফল অসম্পূর্ণ ছিল। যে কারণে রসায়ন বিষয়ে সবার অকৃতকার্য ফল আসে। কেন্দ্রের ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে। আজ তাদের ফল সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই ভুল বা অবহেলার জন্য কেন্দ্রের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
