Logo
Logo
×

সারাদেশ

ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

Icon

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম

ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

ছবি: যুগান্তর

স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সন্দ্বীপপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদিউল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এসএম আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বদিউল আলম তার স্কুলের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হয়েছে। তাই তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

উল্লেখ্য, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের সন্দীপপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে পাঠদান থেকে সাময়িকভাবে বিরত রাখা হয়েছিল।

স্থানীয় ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১ জুলাই ক্লাশ চলাকালীন বদিউল আলম এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে স্পর্শ করেন এবং আপত্তিকরভাবে নিপীড়ন চালান। শিশুটি ভয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি প্রকাশ না করলেও পরে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে জানায়। ২ জুলাই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, স্থানীয় অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করা হয়। এতে বদিউল আলম নিজের দোষ স্বীকার করেন বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। নানা পক্ষ থেকে পরিবারটির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়, যাতে বিষয়টি জানাজানি না হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন বদিউল আলমের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ ছিল। আগের ঘটনাগুলোরও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় এসব ঘটনা বারবার ধামাচাপা পড়ে গেছে

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে পাঠদান থেকে বিরত রাখা হয়। ঘটনার লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মোহাইমেন বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক বদিউল আলমকে বরখাস্ত করতে জেলাতে পাঠিয়েছি। ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে ক্লাশ চলাকালীন যৌন নিপীড়ন করেছে শিক্ষক বদিউল আলম। এর আগেও তিনি একাধিকবার এরকম করেছেন। বারবার এসব ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যাওয়ায় তিনি সাহস পেয়েছেন। তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম