মুক্তিপণ দিয়েও বাঁচানো গেল না শিশু আয়মানকে
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মুক্তিপণ দিয়েও বাঁচানো গেল না ৫ বছরের শিশুকে। নিখোঁজের চার দিন পর ময়মনসিংহের নান্দাইলের শিশু আয়মান সাদাবের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে গফরগাঁও থেকে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামে আয়মানের নানার বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলের পুকুরপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর মাত্র দুই দিন আগে গফরগাঁওয়ে একই এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া সিফাত হাসান নামে আরেক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
জানা গেছে, আয়মান সাদাব নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বারঘরিয়া গ্রামের প্রবাসী আল আমিনের পুত্র। গত শুক্রবার (১১ জুলাই) গফরগাঁওয়ে তার নানার বাড়ি থেকে সে নিখোঁজ হয়। জন্ম থেকেই আয়মান তার মা সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে নানার বাড়িতে বসবাস করছিল।
শুক্রবার দুপুরে বাড়ির কাছেই একটি মাইকের শব্দ শুনে সেদিকে গিয়েছিল আয়মান, এরপর থেকেই তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আয়মানের পরিবার নিখোঁজ হওয়ার দিনই পাগলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, অপহরণকারীরা ফোন করে প্রথমে ২০ হাজার ও পরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সন্তানের জীবন বাঁচাতে পরিবারটি দুই দফায় মোট ২৮ হাজার টাকা পাঠায়, কিন্তু অপহরণকারীরা তাদের ফোন বন্ধ করে দেয়। এরপরই আয়মানের লাশ পাওয়া যায়। অপরদিকে সিফাত নামের শিশুটির পরিবারের কাছ থেকেও মুক্তিপণের কিছু টাকা নিয়েছিল চক্রটি।
স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি শিশু অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গফরগাঁও এবং পার্শ্ববর্তী নান্দাইল উপজেলার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে আয়মানের মা সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমার নিষ্পাপ ছেলে কী অন্যায় করেছিল? ওকে অপহরণ করে টাকা নিয়েও চার দিন আটকে রেখে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের বুক খালি করেছে। আমি আমার ছেলের খুনিদের ফাঁসি চাই।
পাগলা থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের জন্য আয়মানের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দুটি ঘটনারই জোর তদন্ত চলছে।
