খাগড়াছড়ির সদর উপজেলাতে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে (১৪) গণধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানার একটি মামলা করেন, যাতে আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। মামলার পরপরই চার আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের আরমান হোসেন (৩২), ইমন হোসেন (২৫), এনায়েত হোসেন (৩৫) ও সাদ্দাম হোসেন (৩২)।

ঘটনার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ভুক্তভোগী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের জিজ্ঞাসায় স্কুলছাত্রী ঘটনাটি জানায়। ভুক্তভোগী বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন রথযাত্রা মেলায় অংশ নেওয়ার পর রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন ভুক্তভোগী। সেখানেই গভীর রাতে ছয় যুবক জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে আত্মীয়কে বেঁধে রেখে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগীর পরিবার বলছে, সামাজিক লজ্জা ও ভয়ভীতির কারণে মেয়েটি প্রথমে কিছু প্রকাশ করেনি। কিন্তু মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গত ১২ জুলাই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর জ্ঞান ফিরলে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, ‘স্কুলছাত্রীর অবস্থা গুরুতর। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাকে গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ’

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরোফিন জুয়েল বলেন, ‘মামলা হওয়ার পরপরই আমরা চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি।  বাকি দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী এখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ তার জবানবন্দি নেওয়া হবে।’