Logo
Logo
×

সারাদেশ

ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল ফাতেমার, লাশ দেখে মূর্ছা যাচ্ছেন মা

Icon

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম

ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল ফাতেমার, লাশ দেখে মূর্ছা যাচ্ছেন মা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ফাতেমা আক্তার আনিশার (৯) বাড়ি চিতলমারীতে চলছে শোকের মাতম।

সোমবার (২১ জুলাই) তার মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে স্বজনদের আহাজারিতে চিতলমারীর কুনিয়া গ্রামের আকাশ ভারি হয়ে ওঠে। অনাকাঙ্ক্ষিত এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না।

নিহত ফাতেমা আক্তার আনিশা (৯) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ভার্সনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী বনি আমিন ও রোপা দম্পতির বড় মেয়ে। মেয়ের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বাবা বনি আমিন শেখ কুয়েত থেকে প্রিয় সন্তানকে দেখতে দ্রুত দেশে ফিরেছেন।

মঙ্গলবার ভোরে ফাতেমার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মেয়ে ফাতেমার চিরবিদায় মেনে নিতে পারছেনা মা রুপা; তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। মাঝেমধ্যে চোখ খুলে চারদিকে অবাক তাকিয়ে থাকছেন। আবার মুহূর্তেই মূর্ছা যাচ্ছেন।

এদিকে আর্তনাদ করে মেয়ের কফিনে চুমু খেয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানাচ্ছিলেন বাবা বনি আমিন। এ সময় পরিবার ও প্রতিবেশীদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। সকাল ১০টায় কুনিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন কবরস্থানে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহত ফাতেমার মামা স্বপন মীর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ভাগ্নিকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন ছিল। দুর্ঘটনার পর আমি এবং বোন বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেছি। পরে একটি হাসপাতালে গিয়ে দেখি তার নিথর দেহ। তিনি জানান ফাতেমা আক্তার তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় ছিল।

ফাতেমা আক্তার আনিশার চাচা জানান, সকালে ভাতিজির মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঘটনাপ্রবাহ: উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত


আরও পড়ুন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম