জুলাই গণহত্যায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় দায়ের করা একটি মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাঁচাতে বিএনপি নেতার স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার বিকালে তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সিল-স্বাক্ষর জাল করে ওসিকে চিঠি দেওয়ার প্রতিবাদে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগ বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে। দক্ষিণ সুরমার রশিদপুর পয়েন্টের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জানা যায়, ২৫ ডিসেম্বর ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহর সিল-স্বাক্ষর জাল করে মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের অব্যাহতি দিতে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, মামলার আসামিরা ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সমর্থক। তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হলো।

‘মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাদ দিতে উপজেলা বিএনপির চিঠি’ শিরোনামে ২৪ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি সিলেট-২ আসনের বিএনপি নেতাদের দৃষ্টিগোচর হয়। এ নিয়ে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করে। এর প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী ও বিশ্বনাথ পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল হাই।

তারা বলেন, নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সাজানো বাগান বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর বিএনপি। এ বাগানকে বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্রকারীরা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।