খুঁড়িয়ে চলছে শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ থেকে ১০০ শয্যা করা হয়। ইতোমধ্যে কাজ শেষ করে আধুনিক ভবন হস্তান্তর করেছে ঠিকাদার। কিন্তু জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে নতুন ভবনের কার্যক্রম এখনও চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।
জানা গেছে, গত ২৫ মে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ১০০ শয্যার আধুনিক ভবন বুঝিয়ে দেয়। তবে, নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু করতে যায়নি। মূলত জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে আগের মতোই চলছে চিকিৎসা সেবা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে ৭০ জন চিকিৎসক ও ৪৫ জন নার্সের জনবল চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসক রয়েছে ১১ জন। আর নার্স রয়েছে ২৮জন। চিকিৎসক, নার্সসহ জনবল না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে। এতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকেরা। আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।
সূত্রটি আরেও জানায়, প্যাথলজি বিভাগে তিনজনের জায়গায় কেউ নেই। মাদারীপুর জেলা সদর থেকে একজনকে এনে অস্থায়ীভাবে কাজ চালানো হচ্ছে। ক্লিনার বা পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চারটি পদের সবগুলোই শূন্য। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, কনসালটেন্ট (সার্জারি), কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিকস), কনসালটেন্ট (গাইনি), আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও অ্যানেসথেটিস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এক্সরে মেশিন থাকলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় সেটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে হাসপাতালের আউটডোরে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের ব্যাপক চাপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রোগীদের ভিড়। একটি মাত্র টিকেট কাউন্টারে হিমশিম খায় দায়িত্বরতরা। ৫০ শয্যায় ভর্তি থাকা রোগীদের বেডের অভাবে থাকতে হচ্ছে ফ্লোরে। বরাদ্দ কম থাকায় খাবারও পাচ্ছে না অনেক রোগী।
নতুন ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আইসিইউ, আধুনিকমানের অপারেশন থিয়েটার, উন্নতমানের বেড, প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য কক্ষ, সেমিনার কক্ষ, জরুরি বিভাগসহ উন্নতমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকার কথা। কিন্তু প্রশাসনিক অনুমোদনের অযুহাতে সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার সাধারণ মানুষ।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতিমা মাহজাবিন বলেন, আমরা রোগীদের সেবা দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১০০ শয্যা ভবন বুঝে পেলেও প্রশাসনিক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি। চিকিৎসক, নার্সসহ জনবলের কারণে আমরা কাংঙ্ক্ষিত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।
