স্কুলের ভবন থেকে লাফিয়ে পড়া শিক্ষার্থী মারা গেছে
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জামালপুরের বকশীগঞ্জে উলফাতুনেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ছয়তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত শিক্ষার্থী সাথী আক্তার আলো মারা গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটো) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলো মারা যায়।
মৃত সাথী আক্তার আলো বকশীগঞ্জ পৌর শহরের গোয়ালগাঁও এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে। সে বকশীগঞ্জ উলফাতুনেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
জানা যায়, গত ২১ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে বকশীগঞ্জ উলফাতুনেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয়তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটো) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সাথী আক্তার আলো মারা যায়।
মৃত আলোর পরিবার ও সহপাঠীদের অভিযোগ, ২১ জুলাই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূর মোহাম্মদ স্কুলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সাথী আক্তার আলোকে শ্রেণিকক্ষে সবার সামনে তিরস্কার করেন। এ অপমান সহ্য করতে না পেরে অভিমানী সাথী আক্তার আলো প্রথমে ধারালো ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কাটে। এরপর সবার অজান্তে শ্রেণিকক্ষের ছয়তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
সাথী আক্তার আলোর বড় বোন আঁখি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুর মোহাম্মদ টিসি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার বোন আলোকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। সে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে। তিনি শিক্ষক নূর মোহাম্মদের শাস্তির দাবি করেন।
এ ঘটনায় মৃত শিক্ষার্থীর চাচা আবুল কালাম শিক্ষক নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
