পদ্মা পাড়ি দিতে স্পিডবোট যাত্রীদের লাগবে লাইফ জ্যাকেট
চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মা নদীর গোপালপুর ও মৈনট ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাগামী হাজার হাজার যাত্রী পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছেন। এ নৌরুটে স্পিডবোটে পদ্মা নদী পারাপারের সময় প্রত্যেক যাত্রীর জন্য লাইফ জ্যাকেট পরিধান করা বাধ্যতামূলক করেছে প্রশাসন।
শ্রাবণের উত্তাল পদ্মা নদীতে বৈরী আবহাওয়ায় যাত্রীদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করার জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন বলেন, আমি প্রত্যেক যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করিয়ে পদ্মা নদী পারাপারের জন্য নির্দেশ দিয়েছি; কিন্তু অনেক যাত্রী গরমের অজুহাত দিয়ে লাইফ জ্যাকেট পরার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করে চলেছেন। সেসব যাত্রীকে স্পিডবোট থেকে নামিয়ে লঞ্চে পাঠানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এতদিন লাইফ জ্যাকেট পরার অভ্যাস যাত্রীদের ছিল না। আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্পিডবোট যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করেছি। আর এজন্য তিনি সবার সহায়তা কামনা করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার গোপালপুর ও মৈনট ঘাট দিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রী স্পিডবোটে স্বল্প সময়ে পদ্মা নদী পারাপার হয়ে রাজধানীতে যাতায়াত করেন। এ নৌরুটে আশপাশের তিন উপজেলাসহ জেলা শহরের অনেক যাত্রী স্পিডবোটে চলাচল করে থাকেন। প্রতিটি বড় স্পিডবোটে ১৮ জন যাত্রী একং ছোট স্পিডবোটে ১০ জন করে যাত্রী চলাচল করে থাকে। এসব স্পিডবোট যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা বাড়াতে লাইফ জ্যাকেট পরিধানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এসব লাইফ জ্যাকেট দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীদের পানিতে ভেসে থাকতে সাহায্য করে; যা জীবন রক্ষায় জরুরি।
মঙ্গলবার উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাট দিয়ে ঢাকা থেকে ফেরা যাত্রী রতন মোল্যা (৪৫) জানান, এ নৌরুটের প্রতিটি স্পিডবোটের যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাইফ জ্যাকেট পরতে একটু আনইজি ফিল করলেও দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান যাত্রীদের জীবন রক্ষায় খুবই জরুরি।
আরেক যাত্রী হাসান ফকির (৪৮) বলেন, যত কষ্টই হোক, শ্রাবণের এ উত্তাল পদ্মায় খোলা স্পিডবোটে লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এজন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
একই দিন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাটের পরিচালক নির্বাহী অফিসারের এক কর্মচারী সোহেল হাসান জানান, গত কয়েক দিন ধরে আমরা প্রত্যেক স্পিডবোট যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে সবার ছবি রেখে তারপরে পদ্মা পারাপারের জন্য অনুমতি দিচ্ছি। শুধু তাই নয়, পদ্মার ঘাটে যেসব স্পিডবোটে লাইফ জ্যাকেট নেই সেগুলো আপাতত পদ্মা নদীতে চলাচল বন্ধ রেখেছি।
