কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমায়: মঙ্গলবার ছাড়া হবে
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সম্প্রতি রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নামছে পাহাড়ি ঢল। এতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। মঙ্গলবার হ্রদ হতে ছাড়া হবে অতিরিক্ত পানি। সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা হবে ভাটি এলাকার কর্ণফুলী নদীতে।
সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মাহমুদুল হাসান।
তিনি জানান, সম্প্রতি টানা বৃষ্টিপাতে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত বেড়েই চলেছে। হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট বা এমএসএল (মীন সী লেভেল)। এর স্তর ১০৭ ফুট হলে বিপৎসীমা। আর এ সীমা ছেড়ে ১০৮ ফুট গিয়ে পৌঁছলে কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট খুলে হ্রদ হতে ছেড়ে দিতে হয় অতিরিক্ত পানি। সোমবার দুপুর পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর দাঁড়ায় ১০৭ দশমিক ৮৭ ফুট। এদিন বিকালে বাঁধের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি করে খুলে পানি ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাঁধের সব গেট খুলে হ্রদ হতে পানি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার বিকাল ৩টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে উঠিয়ে খুলে দেওয়া হবে। এতে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ হতে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ওই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট হতে মোট ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে প্রতি সেকেন্ডে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ হতে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। বর্তমানে হ্রদের পানি-প্রবাহ ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পানির স্তর অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে গেলে স্পিলওয়ের (জলকপাট) গেট খুলে পানি নিষ্কাশনের পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
