ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)-এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে শহরের চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রসিত গ্রুপের এক সমর্থক আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফ্যাস্টিট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক বছর
উপলক্ষে মিছিল বের করে ইউপিডিএফের দুটি পক্ষ। স্বর্নিভর বাজার থেকে মিছিল বের করে প্রসীত খীসার
নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ। মিছিলটি চেঙ্গী স্কয়ারের পৌঁছালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা
ঘটে। এ সময় এক সমর্থক আহত হয়। পরে চেঙ্গী স্কয়ারে ইউপিডিফের ব্যানারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া
হয়। এ সময় আশপাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন প্রসীত ইউপিডিএফের
মুখপাত্র অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, আজ সকালে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন উপলক্ষে আমাদের
মিছিল ছিল। মিছিলটি চেঙ্গী স্কয়ারে পৌঁছানোর পর আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় আমাদের
একজন নারীকর্মী আহত হন।
সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি
ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। চেঙ্গী স্কয়ার থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি সূর্যশিখা ক্লাবের
সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় বক্তব্য দেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কলিন চাকমা।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সংঘর্ষের জন্য প্রসীত ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন
গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা অমর জ্যোতি চাকমা। তিনি বলেন , ‘ফ্যাসিবাদী
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন উপলক্ষে আমাদের শোভাযাত্রা ছিল। আমরা র্যালি শুরু করার পর
পর ওরা (ইউপিডিএফ) আমাদের ওপর হামলা করে। ইট-পাটকেল
নিক্ষেপ করে। এর প্রেক্ষিতে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমাদের ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙা হয়েছে। ’
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ
উত্তেজনা হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
