টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৪০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম মিয়া, ড্যাব নেতা ডা. শাহ আলম তালুকদার ও উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদের পক্ষের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কালিহাতী আর এস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেনজীর আহমেদ টিটো গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। অপরদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উভয় গ্রুপে অংশ নেয়।

দুপুরে মিছিল বের করে বেনজীর আহমেদ টিটো গ্রুপের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় লুৎফর রহমান মতিনের গ্রুপের নেতাকর্মীরা বেনজীর আহমেদ টিটোর মিছিলে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালালে দুইগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পালটা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে দুগ্রুপের ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে তাদের দাবি।

পরে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। হঠাৎ করে বেনজীর আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থি লোকজন নিয়ে আমাদের সমাবেশস্থলের পাশ দিয়ে মিছিল নিয়ে এসে আমাদের কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। পরে কালিহাতীর মানুষ সেটা প্রতিহত করে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এতে করে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন।

এ বিষয়ে বেনজীর আহমেদ টিটোর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তার অনুসারী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মজনু মিয়া বলেন, মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় শুকুর মাহমুদের পক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায় এতে ৪০ জন আহত হয়েছেন।

কালিহাতী থানা ওসি জাকির হোসেন জানান, উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে আহত হয়েছে কি না জানা যায়নি। এ ঘটনায় কোনোপক্ষই মামলা করেনি। কাউকে আটক করা হয়নি।