বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন ও গুম হয়েছেন। অনেক মায়ের বুক ও বাবার কোল খালি করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা হাজার হাজার মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। শেখ হাসিনার আয়নাঘর থেকে এখনো অনেক নেতাকর্মী ফিরে আসতে পারেন নাই। এই বাংলাদেশের মাটিতে আয়নাঘর নামক কোনো বস্তু যেন আর সৃষ্টি না হয়।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকালে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরের বাইপাস সড়কের পাশে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে শামা ওবায়েদ বলেন, জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনার নির্দেশে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে শিশুদের মারা হয়েছে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেই পরিবারগুলোর দিকে এখন তাকানো যায় না। তারা আজকে কাঁদছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করার লক্ষ্যে রাস্তায় নেমে এসেছিল সেদিন। জীবন ও রক্ত দিয়েছিল। আমরা আজকের এই দিনে সেই শহীদদের স্মরণ করছি।

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, আপনারা আজকের এই দিনে প্রতিজ্ঞা করুন, যেকোনো মূল্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ এখনো আওয়ামী দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। তারা বাংলাদেশকে একটি ষড়যন্ত্রের মুখে ফেলে দিতে চায়। বাংলাদেশের মাটিকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এখন থেকে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে পথসভায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান হুমাউন খাঁ, মো. শাহিন মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাসার আজাদ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আছাদ মাতুব্বর, বিএনপি নেতা জাহিদুল হাসান লাবলু, রাশেদ মাতুব্বর, আব্দুর রব, যুবদল নেতা হাসান আশরাফ, এনায়েত হোসেন, মিরান হুসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কামরুল হোসেন, ইস্রাফিল মাতুব্বর, শ্রমিক দল নেতা কালাম বিশ্বাস, উপজেলা আরাফাত রহমান স্মৃতি সংসদের সভাপতি ইয়াসিন বিশ্বাস, ছাত্রদল নেতা সাইফুল আলম, রেজাউল ইসলাম রাজ প্রমুখ।