মাইক্রোবাস খালে পড়ে একই পরিবারের নিহত
দুর্ঘটনার কারণ জানালেন ওসি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ওমান থেকে আসছেন বাহার উদ্দিন। এ উপলক্ষে মাইক্রোবাসযোগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায় বাহর উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা। এ প্রবাসীকে বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে পরিবারের সদস্যরা ফিরে যাচ্ছিলেন বাড়ি। কিন্তু পথিমধ্যে ঘটল বিপত্তি। দুর্ঘটনার শিকার হলো মাইক্রোবাসটি। আর এতেই আনন্দে থাকা পরিবারটির বেশিরভাগ সদস্যরা চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
বুধবার (৬ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর
ইউনিয়নের চন্দ্রগঞ্জের জগদিশপুর এলাকার চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা
ঘটে। এতে একই পরিবারের সাতজন নিহত ও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিনের মোরশিদা বেগম (৫৫), তার স্ত্রী
কবিতা (২৪), মেয়ে মিম আক্তার (২), ভাবি লাবনী আক্তার (৩০), ভাতিজি রেশমী আক্তার (৮)
ও লামিয়া (৯) এবং নানী ফয়জুন্নেসা (৮০)। তারা সবাই লক্ষীপুরের হাজিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম
চৌপল্লী গ্রামের বাসিন্দা।
কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে- তা জানিয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি
মোবারক হোসেন ভূঁইয়া। তার মতে, চালকের চোখে ঘুম থাকায় যানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন
তিনি। এমনকি, দুর্ঘটনার পর থেকে আহত চালক পলাতক রয়েছেন।
ওসি বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে মাইক্রোবাসচালক পলাতক রয়েছে। মাইক্রোবাসটি
জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। চালকের চোখে ঘুম থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। লাশগুলো আইনি
প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।’
