বিপৎসীমার উপরে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ৩ গুণ
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
টানা বৃষ্টিতে উজানের পাহাড়ি ঢলে বিপৎসীমার বাইরে চলে গেছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি। ঝুঁকি মোকাবিলায় বর্তমানে হ্রদ হতে পানি ছাড়ার পরিমাণ তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে।
কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর ১০৮ ফুটের অধিক উচ্চতা ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রথম পর্যায়ে সোমবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টায় কাপ্তাই বাঁধের স্প্রিলওয়ের ১৬টি গেট বা জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে উঠিয়ে খুলে দেওয়া হয়। এতে হ্রদ হতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি ভাটি এলাকার কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে নিষ্কাশিত হয়ে পড়ে। কিন্তু এরপরেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে হ্রদের পানি বাড়তে থাকলে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি থেকে বাড়িয়ে দেড় ফুট উঠিয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ হতে প্রায় ৩০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, হ্রদের পানি নিয়ন্ত্রণে না আসায় মঙ্গলবার সাড়ে ১০টায় পানি বাঁধের স্প্রিলওয়ের ১৬টি জলকপাট দিয়ে ৬ ইঞ্চি থেকে বাড়িয়ে দেড় ফুট করে উঠিয়ে করে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় হ্রদে পানির স্তর ছিলে ১০৮ দশমিক ৫৫ ফুট উঁচুতে। হ্রদে পানির উচ্চতা যাতে বিপৎসীমার নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্য হ্রদ হতে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন চলতে থাকবে। এছাড়া এ পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫টি ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতি সেকেন্ডে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি নির্গমন হয়ে যাচ্ছে ভাটি এলাকার কর্ণফুলী নদীতে।
তিনি জানান, কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০৯ ফুট বা এমএসএল (মিন সি লেভেল)। ১০৮ ফুট হলে বিপৎসীমার বাইরে চলে যায়। এতে হ্রদের পানি ছেড়ে দিয়ে ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হয়।
এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বহু পরিবারের মানুষ। তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
