Logo
Logo
×

সারাদেশ

কৌশলে ঘরে ঢুকে একজনকে কুপিয়ে হত্যা, পালিয়ে বাঁচলেন স্ত্রী

Icon

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম

কৌশলে ঘরে ঢুকে একজনকে কুপিয়ে হত্যা, পালিয়ে বাঁচলেন স্ত্রী

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার পালিয়ে যাওয়ায় বেঁচে যান স্ত্রী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোববার দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়ার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়ার সেগুনবাগিচা এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। 

নিহত মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (৪৮) উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের  মাঝেরঘোনা এলাকার নুর আহমদের ছেলে। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে পাহাড়ি জনপদ সেগুনবাগিচা এলাকায় বসবাস করে আসছেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রোববার সকালে শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়ার সাপেরগাড়া এলাকার মনছুর আলম (৪৫) ও জকিরুল ইসলাম (৫৫) নামের দুজনকে আটক করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘরে ঢুকে জসিম উদ্দিনের কানে, ঘাড়ে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। ঘটনার সময় ঘরে থাকা জসিম উদ্দিনের স্ত্রী দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তিনি প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানালে প্রতিবেশীরা গিয়ে ঘরের ভেতর জসিমের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।

নিহত জসিমের স্ত্রী সেলিনা আকতার বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা ধারালো অস্ত্রের সঙ্গে একটি মোরগ নিয়ে এসেছিলেন। মোরগ ডাকার শব্দে তিনি ভেবেছিলেন কেউ খোপ থেকে মুরগি নিয়ে যাচ্ছেন। তাই ঘরের দরজা খোলেন। তবে দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকে ৭-৮ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।

তিনি বলেন, তার  মালয়েশিয়া প্রবাসী ছেলের সঙ্গে স্থানীয় এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে ওই তরুণী সম্প্রতি ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এরপর ওই তরুণীর পরিবার তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এ ঘটনার জেরে তার স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।

স্থানীয় শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আহমদ শফি বলেন, বসতঘরে ঢুকে জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়ে রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পেকুয়া তানা পুলিশ। তারা লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম