Logo
Logo
×

সারাদেশ

খুঁটিতে বেঁধে বাংলাদেশিকে নির্মম নির্যাতন ভারতীয়দের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, তাহিরপুর

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম

খুঁটিতে বেঁধে বাংলাদেশিকে নির্মম নির্যাতন ভারতীয়দের

প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ে মোবারক হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করেছে ভারতীয়রা।

মারধরের শিকার মোবারক সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চারাগাঁও সীমান্তের সীমান্ত গ্রাম কলাগাঁও এলাকার লাল মিয়ার ছেলে।

সোমবার বিকালে উপজেলার কলাগাঁও সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়া ভারতের মেঘালয়ের রণ্ডা বস্তিতে সেখানকার নাগরিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে তার ছেলে মোবারক হোসেনকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে বেধড়কভাবে পেটানোর একটি ভিডিও ফুটেজ মোবাইল ফোনে দেখেছেন বলে যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলার বড়ছড়া পুলিশ স্টেশনের পাহাড়ি গ্রাম রণ্ডাতে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে সেখানকার সংক্ষুব্ধ নারী পুরুষরা ওই যুবককে রোববার সকালে লাঠি দিয়ে মাটিতে শুইয়ে বেধড়কভাবে পেটানোর একটি ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সোমবার বিকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত জনপদের মানুষজন জানান, ভারতের যে বস্তিতে মোবারককে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে সেই বস্তি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার মাটিরাবন সীমান্তের ওপারে মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলার বড়ছড়া পুলিশ স্টেশনের রণ্ডা বস্তি।

তাহিরপুরের কলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়া আরও জানান, গেল বুধবার বিকালে শ্বশুরবাড়ি সুন্দরবনে যাওয়ার কথা বলে মোবারক বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তিনি ভিডিও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হন- মোবারককে ভারতীয়রা তাদের বস্তিতে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে মাটিতে শুইয়ে বেধড়কভাবে পেটাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমি দিনমজুরি করি গরিব মানুষ। ভয়ে বিজিবিকে বিষয়টি জানাইনি।

ছেলে জীবিত না মৃত তাও নিশ্চিত নন বলে জানান মোবারকের মা পারুল বেগম।

সোমবার বিকালে বিজিবি সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির বলেন, মোবারক হোসেন নামে কোনো যুবককে সুনামগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ভারতীয়রা নির্যাতন করেছে বলে কেউ অবহিত করেননি।

প্রসঙ্গত, গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর থেকে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হিমেল অপহরণ মামলায় গ্রেফতারের পর ভারতীয়দের হাতে আটকের কয়েক দিন পূর্বে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে বাড়ি ফেরেন মোবারক হোসেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম