দৌলতপুরে যমুনা নদীতে ড্রেজারের দাপট, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
যুগান্তর প্রতিবেদন,মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ১১:১০ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীতে একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। ফলে ভাঙনের মুখে পড়েছে শত শত একর ফসলি জমি।
রাতের অন্ধকার ও প্রকাশ্যে নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বাঘুটিয়া বাজারে ভুক্তভোগী শত শত গ্রামবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, গলায় স্লোগান ‘বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য, আর নয় আর নয়, আবাদি জমি বাঁচাও’।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া,পারুরিয়া, বাচামারা, ইসলামপুর, জোতকাশি ও পাচুরিয়া মৌজার উর্বর কৃষিজমিসহ বসতভিটা ভাঙনের মুখে আছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের চোখের সামনে প্রতিদিন অবৈধভাবে বালু লুটপাটের উৎসব চলছে; কিন্তু প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ড্রেজারের অবিরাম গর্জনে ঘুম হারাম হচ্ছে গ্রামবাসীর। নদীর বুক চিরে বালু উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা আর সেই সঙ্গে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে শত শত একর আবাদি জমি।
প্রতিবাদকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের জমি, ফসল আর ভবিষ্যৎ রক্ষায় আমরা একসঙ্গে লড়ব। যদি ড্রেজার বন্ধ না হয়, তবে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে মাঠে নামতে আমরা প্রস্তুত।
মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনের প্রতি অবৈধ ড্রেজার বন্ধে কার্যকর ও স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাঘুটিয়ার এই আন্দোলন এখন মানিকগঞ্জের গ্রামীণ জনপদে এক প্রতীকী লড়াই হয়ে উঠেছে। এটি শুধু জমি বাঁচানোর আন্দোলন নয়, এটি গ্রাম ও পরিবেশ বাঁচানোর সংগ্রাম।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বাঘুটিয়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা তাজুল ইসলাম, বাঘুটিয়া ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বিএসসি, শাহজাহান মাস্টার, আবদুল লতিফ মিয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন, আব্দুর রহমান, ইলিয়াস হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
