Logo
Logo
×

সারাদেশ

অধ্যাপক যতীন সরকারের বর্ণাঢ্য জীবন

Icon

ময়মনসিংহ ব্যুরো, নেত্রকোনা ও কেন্দুয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম

অধ্যাপক যতীন সরকারের বর্ণাঢ্য জীবন

স্বাধীনতা পদক পাওয়া বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার আর নেই। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। যতীন সরকারের ছেলে সুমন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী যতীন সরকারের মৃত্যুর খবরে তার স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা হাসপাতালে ভিড় জমান।

বেশ কয়েক মাস ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলি আর্থ্রাইটিসে ভুগছিলেন। কয়েক মাস আগে বেশ কিছু কারণে তার শরীরে অস্ত্রোপচারও করা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে নেত্রকোনায় নিজ বাড়িতে বসবাস করছিলেন।

গত জুনে শয়ন কক্ষের সামনে বারান্দা থেকে পত্রিকা আনতে গিয়ে তিনি পড়ে যান এবং রাইট ফিমার নেক ফ্যাকচার হয়। এরপর তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যতীন সরকার ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোনার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র সরকার এবং মাতা বিমলাবালা সরকার। পিতামাতার তিন সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক দীর্ঘ সময় মননশীল সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

লেখক হিসেবে যতীন সরকার ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পদক, ২০০৫ সালে ‘পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন’ গ্রন্থের জন্য প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থ পুরস্কার, ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার, মনিরুদ্দীন ইউসুফ সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন। ৪২ বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা পেশায় থেকে ২০০২ সালে অবসর গ্রহণের পর যতীন সরকার স্ত্রী কানন সরকারকে নিয়ে শিকড়ের টানে চলে যান নিজ জেলা নেত্রকোনায়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ময়মনসিংহ জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ বাহার মজুমদার জানান, তার লাশ বিকাল ৪টায় ময়মনসিংহ নগরীর উদীচী কার্যালয়ে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়। সেখান থেকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য নিজ জেলা নেত্রকোনায় নেওয়া হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম