রাজশাহীতে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ২ মামলা
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিখর গ্রামে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা, অন্যটি অপমৃত্যুর মামলা। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে নগরীর মতিহার থানায় মামলা দুটি করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সকালে বাড়ির দুটি ঘরে চারজনের লাশ পাওয়া যায়। নিহরা হলেন, মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী মনিরা
খাতুন (২৮), ছেলে মাহিম (১৪) ও মেয়ে মিথিলা (৩)।
একটি ঘরের বিছানায় ছিল মনিরা ও শিশুকন্যা মিথিলার লাশ। পাশের ঘরের বিছানায় ছিল
মাহিমের লাশ। এ ঘরেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল মিনারুলের লাশ। এ ঘর থেকে দুটি চিরকুট উদ্ধার
করা হয়েছে। সেগুলো মিনারুল লিখেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাতের লেখাটি মিনারুলেরই বলে
পুলিশকে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
চিরকুটে লেখা আছে, ‘আমি মিনারুল নিচের যেসব লেখা লিখব, সব আমার নিজের
কথা। লিখে যাচ্ছি এ কারণে আমরা চারজন আজ রাতে মারা যাব। এই মরার জন্য কারো কোনো দোষ
নেই। কারণ, লিখে না গেলে বাংলার পুলিশ কাকে না কাকে ফাঁসিয়ে টাকা খাবে। আমি মিনারুল
প্রথমে আমার বউকে মেরেছি। তারপর আমার মাহিনকে মেরেছি। তারপর আমার মিথিলাকে মেরেছি।
তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি।’
আরেকটি চিরকুটে লেখা, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এ কারণে যে, আমি
একা যদি মরে যাই, তাহলে আমার বউ, ছেলে, মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে? কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া
কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি
না। তাই বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম, সেই ভালো হলো।’
মামলার তথ্য নিশ্চিত করে মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক জানান, মিনারুলের
বাবা রুস্তম আলী বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলাটি করেছেন। আর মনিরা, মাহিম ও মিথিলাকে শ্বাসরোধে
হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলাটি করেছেন মনিরার মা শিউলী বেগম।
ওসি বলেন, মামলা দুটিতে আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ নেই। আসামি অজ্ঞাত।
তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
