Logo
Logo
×

সারাদেশ

শহীদ মামুনের অসহায় সন্তানদের আকুতি

দেশের জন্য বাবা শহীদ হয়েছেন, এখন আমরা কার কাছে গিয়ে দাঁড়াব

Icon

আবদুস সালাম আজাদী, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম

দেশের জন্য বাবা শহীদ হয়েছেন, এখন আমরা কার কাছে গিয়ে দাঁড়াব

দেশের পরিবর্তনের জন্য গুলি খেয়ে বাবা শহীদ হয়েছেন, এখন আমরা ৪ এতিম ভাইবোন কার কাছে দাঁড়াব, কে আমাদের মানুষ করবে?

কথাগুলো বলছিল জুলাই বিপ্লবে শহীদ মামুন খন্দকারের অসহায় সন্তানরা।

মামুন খন্দকার পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর খন্দকারের ছেলে। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন।

পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের লোকজনের হাতে আহত হন। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে ৭ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।

মামুন খন্দকারের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্ত্রী সাথী খন্দকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

শহীদ মামুনের ভাই মাহমুদুল হাসান খন্দকার বলেন, টাকা উপার্জন করার জন্য পরিবার নিয়ে ঢাকা গিয়েছিলেন। সাভারের আশুলিয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। আশুলিয়া বাইপাইল থানা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। যারা গুলি করে হত্যা করেছে তাদের উচিত বিচার চাই।

ছোট মেয়ে তাওহিদা বলেন, বাবা ৪ আগস্ট বাসা থেকে বের হন। তারপর আর বাসায় ফেরেননি। আন্দোলনের সময় আমাদের বাসায় এসে লোকজন হুমকি দিয়ে যান। পরে আমরা শুনতে পাই বাবা গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। বাবাকে যারা খুন করেছে তাদের বিচার চাই।

মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে শহীদ মামুন খন্দকারের লাশ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছিল। ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় মামুনের লাশ দাফন করা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম