Logo
Logo
×

সারাদেশ

খালে পাওয়া ৬ গ্রেনেড নিষ্ক্রিয়, আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে স্প্লিন্টার

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম

খালে পাওয়া ৬ গ্রেনেড নিষ্ক্রিয়, আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে স্প্লিন্টার

বগুড়া সদরের ছোট কুমিড়া গ্রামের বারকি খাল থেকে উদ্ধার করা পরিত্যক্ত ছয়টি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট। রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিট থেকে রাত ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত একে একে গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।

তিনটি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার সময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। গ্রেনেডের ভেতরে থাকা লোহার বস্তুগুলো (স্প্লিন্টার) আশপাশের টিনের চালে ছড়িয়ে পড়ার শব্দও শোনা যায়।

পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, রোববার দুপুরে কয়েকজন ছোট কুমিড়ার বারকি খালে মাছ ধরতে নামেন। পানি নিষ্কাশনের সময় বেলা ২টার দিকে এক যুবক কাদাপানির মধ্যে একটি গ্রেনেড দেখতে পান। এরপর তারা চারটি গ্রেনেড উদ্ধার করে। এরপর তারা ভয়ে সদর থানায় খবর দিলে সদর থানার ওসি হাসান বাসির ও অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তাদের দেওয়া খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলে আরও দুটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়। এরপর গ্রেনেডগুলো স্থানীয় মারকাজ মসজিদের পেছনে মাঠে পানিভর্তি বালতির ভেতরে রাখা হয়।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা গ্রামবাসীদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন। সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিটে প্রথম গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার সময় বিকট শব্দ হয়। এরপর ৩৫ মিনিটের মধ্যে একে একে আরও পাঁচটি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করা হয়। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার সময় বিকট শব্দের পাশাপাশি আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। এছাড়া গ্রেনেডের অংশ আশপাশের টিনের চালে ছড়িয়ে পড়ে।

বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির জানান, প্রাথমিকভাবে গ্রেনেডগুলো স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়কার মনে হচ্ছে না। এরপরও খালে কিভাবে গ্রেনেডগুলো এলো সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাননি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম